ঘুম ভাঙুক সকাল সকাল। ছবি: সংগৃহীত।
কাজে কোনও খামতি নেই তবু রোজ বসের কাছে বকা শুনতে হয় সায়নকে। দোষ একটাই, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস ঢুকতে না পারা। অথচ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মনে করে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। সকালে সায়নের নিদ্রাভঙ্গ করতে না পেরে তা বেজে বেজে হতাশ হয়ে একসময় বন্ধ হয়ে যায়। ঘুম থেকে তৈরি হয়ে সায়ন যখন অফিসে ঢোকেন, তত ক্ষণে অফিসে অর্ধেক কাজ এগিয়ে গিয়েছে। প্রায় দিন এমন হলে বসের চোখরাঙানিকে দোষ দেওয়া যায় না। সকালে ঘুম থেকে ওঠা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। অ্যালার্মের উপর ভরসা না করে যদি রোজ কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তা হলে দ্রুত দিন শুরু করা সহজ হয়ে যাবে।
১) রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন। প্রতি দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। চেষ্টা করুন রাতের খাওয়া সেরে নেওয়ার পর আর মোবাইল বা ল্যাপটপ না দেখতে। রাতে ঠিকঠাক ঘুম হলে সকালে উঠতেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বেশ কিছু দিন এই অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে গেলে দেখবেন অ্যালার্মও লাগছে না। এমনিতেই ঘুম ভেঙে যাচ্ছে।
২) রাতে বেশি ভারী কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল। হালকা খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করবে। তেল-ঝাল-মশলাদার খাবার রাতে খেলে বদহজম, অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার প্রভাবে ব্যাঘাত ঘটতে পারে ঘুমেও। অনেকেই রাতে কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাসও ভাল নয়। ঘুম আসতে দেরি হয়। রাতে পর্যাপ্ত না ঘুমালে সকালে ঘুম ভাঙতে বেলা হয়ে যায়।
৩) অনেক সময় কোনও কাজের তাড়া থাকলে, এমনিতেই ঘুম ভেঙে যায়। সকালে ওঠার একটি কারণ তৈরি করুন। বাড়ির কোনও দায়িত্ব হতে পারে। নিজের পছন্দ মতো কোনও কাজ করতে পারেন। প্রথম দিকে জোর করেই উঠে পড়ুন। কিছু দিন পর থেকে দেখবেন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।