রাস্তাঘাটে সাধারণ শৌচালয় থেকে নানা প্রকার সংক্রমণ হতে পারে বলে যতটা সম্ভব প্রস্রাব চেপে রাখার চেষ্টা করছেন। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে ঘেমেনেয়ে পুজোর কেনাকাটা করছেন। কখনও জল, কখনও ফলের রস, কখনও আবার এনার্জি ড্রিঙ্ক— ডিহাইড্রেশন রোখার যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়ে তবেই বাইরে বেরোচ্ছেন। কিন্তু মুশকিল হল, অতিরিক্ত তরল পানীয় খেলে তো বারে বারে প্রস্রাবের বেগ আসবেই। রাস্তাঘাটে সাধারণ শৌচালয় থেকে নানা প্রকার সংক্রমণ হতে পারে বলে যতটা সম্ভব প্রস্রাব চেপে রাখার চেষ্টা করছেন। ভাবছেন, বাড়িতে গিয়েই একেবারে শৌচালয়ে ঢুকবেন। তাতে আর যা-ই হোক, সংক্রমণের ভয় থাকবে না। তবে সব সময় যে পরিকল্পনা মতো কাজ হবে, তা নয়। প্রস্রাবের বেগ ধরে রাখতে না পেরে অনেককেই খুচরো পয়সা হাতে নিয়ে দৌড়তে হয় সুলভ শৌচালয়ে। জলের ব্যবস্থা থাকলেও শহরের সব ‘পে অ্যান্ড ইউজ় টয়লেট’ যে খুব যত্ন নিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিষ্কার করা হয়, এমনটা কিন্তু নয়। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও নাক, মুখ চেপে একপ্রকার চোখ বন্ধ করেই কাজ সেরে নিতে হয়। আর সেখান থেকেই সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ শৌচাগার ব্যবহার করার আগে কী কী মেনে চলবেন? ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেরই ধারণা, নিজের বাড়ির কমোড থেকে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, গুটিকয়েক মানুষ। তা ছাড়া শৌচালয় পরিষ্কারও করা হয় নিয়মিত। তাই সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধারণা ভিত্তিহীন। সংক্রমণের আশঙ্কা সাধারণ শৌচালয়ে বেশি হলেও বাড়ির কমোড থেকে যে একেবারে তা হয় না, তা নয়। কারণ, কমোডে বসার ভঙ্গির উপর নির্ভর করে সংক্রমণের সম্ভাবনা। সাধারণত চেয়ারে বসার ভঙ্গিতে বসতে হয় কমোডে। পা, হাঁটু এবং কোমরের সমস্যা থাকলে কমোডে বসা অনেকাংশেই সুবিধাজনক। তবে সাধারণ কয়েকটি নিয়ম জানা থাকলেই কমোড থেকে সংক্রমণের ভয় অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ শৌচাগার ব্যবহার করার আগে কী কী মেনে চলবেন?
১) কমোড ব্যবহার করার আগে ফ্লাশ করে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
২) কমোডে বসার আগে জেড স্প্রে দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা ভাল করে ধুতে হবে।
৩) কমোডের সিটের উপর পাতা যায়, এক বার ব্যবহারযোগ্য বিশেষ এক ধরনের কাগজ সঙ্গে রাখতে পারেন। যদি জলের ব্যবস্থা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে এটি দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হবে।
৪) এ ছাড়া বাজারে এখন বিভিন্ন রকমের ডিজ়ইনফেকশন স্প্রে পাওয়া যায়। তা-ও সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫) কোনও উপায় না থাকলে টিস্যু পেপার দিয়ে কমোডের সিট মুছে, পরিষ্কার করে তবে ব্যবহার করবেন। সব শেষে সাবান দিয়ে হাত ধুতে কিন্তু ভুলবেন না।