শিশুকে ডায়াপার পরালে নিয়মও মানুন বাবা-মায়েরা। ছবি: সংগৃহীত।
শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে নিশ্চিন্তে থাকেন বাবা-মায়েরা। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে শিশুর ত্বকের কতটা ক্ষতি হতে পারে, সে ব্যাপারে জানা নেই অনেকেরই। অনেক মা-বাবাই প্রায় তিন বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানকে ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। কিন্তু এটি ব্যবহারের সময়, নিয়ম ও পদ্ধতি না জানার কারণে শিশুর অস্বস্তি তো হয়ই, তা ছাড়া তার ত্বকেও র্যাশ, চুলকানির মতো চর্মরোগ দেখা দেয়। শিশু চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুকে যদি ডায়াপার পরাতে হয়, তা হলে কী কী নিয়ম মানতে হবে, তা জেনে রাখা উচিত।
শিশুকে ডায়াপার পরানোর ৬টি সতর্কতা
১. প্রথম কথা হল, ডায়াপার সব সময় পরাতেই হবে এমন ভাবনা যেন মাথায় না থাকে।
২. কাছাকাছি কোথাও গেলে ডায়াপার পরাবার দরকার নেই। খুব সমস্যা না থাকলে ডায়াপার ছাড়াই রাখুন শিশুকে।
৩. নরম সুতির কাপড়ের ডায়াপার ছাড়া অন্য ডায়াপার কিনবেন না। অন্য ধরনের কাপড়ে ঘষা লেগে শিশুর ত্বক লালচে হয়ে যায়। কী ধরনের ডায়াপার আপনার সন্তানের ত্বকের জন্য ভাল, তা শিশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নেবেন।
৪. ভিজে ভিজে ভাব জানান দেবে এমন ডায়াপারই কিনুন।
৫. ভিজে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে বদলে দিন ডায়াপার।
৬. ডায়াপার যদি না-ও ভেজে, তাও ঘণ্টা দুই অন্তর ডায়াপার বদলে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
কী কী ভুলেও করবেন না?
১. নিশ্চিন্ত থাকতে রাতভর শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। ডায়াপার ছাড়াই ঘুম পাড়ান। দরকার হলে অভিভাবকেরা পালা করে রাতভর দায়িত্ব নিন।
২. ১২-১৪ ঘণ্টা ডায়াপার পরিয়ে রাখেন অনেক অভিভাবকই। এতে শিশুর ত্বকে ঘষা লেগে র্যাশ, অ্যালার্জি হয়। ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যায়, জ্বালা করে।
৩. বাচ্চা মলমূত্র ত্যাগ করলে সেই অবস্থায় ডায়াপার পরিয়ে রাখলে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। সে দিকে খেয়াল রাখুন।
৪. শিশুকে রোজ ভাল করে স্নান করাবেন। অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। এতে র্যাশের সম্ভাবনা কমে যায়।
৫. জন্মের ৩ সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ন্যাপকিন র্যাশের সমস্যা বেশি দেখা যায়, এই সময় ডায়াপার পরাবেন কি না, বা পরালে কী ধরনের ডায়াপার কিনবেন, কত ক্ষণ পরাবেন, তা শিশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। শিশুকে কী ধরনের ডায়াপার পরাবেন, শিশুর ত্বকে র্যাশ, জ্বালাভাব হলে কী করা উচিত, তা শিশু চিকিৎসকের থেকে ভাল করে জেনে নিন।