কী ভাবে ভাল রাখবেন নিজেকে? ছবি: সংগৃহীত।
সংসার, কর্মক্ষেত্র দু'দিক সামলাতে গিয়ে নাকানি-চোবানি খাওয়ার দশা হয় বহু মহিলারাই। পুরুষদের উপরেও যে চাপ থাকে না, তেমন নয়। তবে সংসার, সন্তান, বাড়ি-ঘর সামলানোর বাড়তি দায়িত্ব কাঁধে থাকে গৃহিনীদেরই। তিনি যদি বাইরের কর্মজগতে যুক্ত না-ও থাকেন, তা-ও সংসারের ঝক্কি সামলে নিজের দিকে নজর দেওয়ার সময় থাকে না। পুরুষদের অবস্থাও কিছুটা তেমন হয়। অনেক সময় সংসারের জোয়াল ঠেলে, অফিসের চাপ সামলে নিজের জন্য সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু পুরুষ হোন বা মহিলা, বয়স যাই-ই হোক না কেন, নিত্য-নৈমিত্তিক কাজের ভিড়েও নিজের খেয়াল রাখা জরুরি।
নিজের যত্ন
নিজের যত্ন নিয়ে অনেক সময়ই লোকজন ভাবেন না। অনেকে হয়তো ভাবার সময়ই পান না। কিন্তু, শরীর ও মন ভাল রাখার জন্য এই যত্নটুকু ভীষণ জরুরি। একটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার, আপনি নিজে ভাল না থাকলে কি আপনার চারপাশে থাকা মানুষগুলিকে ভাল রাখতে পারবেন?
১. স্বাস্থ্য ভাল রাখা খুব জরুরি। শরীর না ভাল থাকলে দৌড়ঝাঁপ করে কাজকর্ম করার ক্ষমতা কিন্তু থাকবে না। তাই সঠিক খাওয়া যেমন দরকার, তেমনই প্রয়োজন বছরে অন্তত এক বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। ডায়াবিটিস, থাইরয়েড বা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ-সহ কোনও রোগ থাকলে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম, অন্তত ১০ মিনিট শরীরচর্চা জরুরি।
২. শরীরের পাশাপাশি আসে মনের প্রসঙ্গ। মন ভাল রাখার জন্য নিজেকে সময় দিতে হবেই। সমস্ত ব্যস্ততা সরিয়ে অন্তত আধ থেকে এক ঘণ্টা নিজের জন্য সময় বের করতে হবে। এটা শুরু মহিলা নয়, পুরুষদের জন্যও প্রযোজ্য। এই সময়টা গান শোনা, বই পড়া, সিনেমা দেখা, যা করতে ইচ্ছে করে, সেটাই করতে পারেন।
৩. শরীর ও মন, দুই-ই ভাল রাখতে সকালে উঠে প্রাণায়াম করতে পারেন। সকালে সময় না হলে সন্ধ্যায় হাঁটতে পারেন। দিনের মধ্যে একটু সময় বের করে শরীরচর্চা করতেই হবে। নিজের জন্য দিনের বিভিন্ন সময় একটু বের করে নিন।
৪.ত্বক থেকে চুলেরও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। সপ্তাহে এক বার শরীর বা মাথা মাসাজ করালে আরাম বোধ হয়। এতে সমগ্র শরীরেই রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। পাশাপাশি, ত্বকের চর্চায় ফেসিয়াল করা যেতে পারে। এর কোনও কিছু না করলেও নিয়মিত ত্বক ও চুলের পরিচর্যা প্রয়োজন। এটাও কিন্তু নিজের যত্নেরই অঙ্গ। আয়নায় নিজেকে সুন্দর দেখতে কার না ভাল লাগে!