—প্রতীকী ছবি।
ত্বকের যত্নে যতটা মনোযোগ দেওয়া হয়, ডায়াবিটিস থাকলে সে ভাবেই পায়ের যত্ন নিতে হবে। শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তার প্রভাব সবচেয়ে আগে পড়ে পায়ের উপর। অল্প দিনেই স্নায়ু কমজোর হয়ে পায়ের সাড় কমে যেতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় এই অসুখকে বলে ‘ডায়াবিটিক নিউরোপ্যাথি’। বিশেষ করে এই বর্ষায় ডায়াবেটিকদের পায়ের যত্নে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। বৃষ্টি মানেই জলকাদা। সব সময়ে বাড়ি বসে থাকাও সম্ভব নয়। পায়ের সুরক্ষা না নিলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে ডায়াবেটিকদের। কী ভাবে যত্ন নেবেন পায়ের?
১) বাইরে থেকে ফিরে সব সময়ে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে পা ধোয়া জরুরি। কম ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে পা ধুয়ে নিন। ধোয়ার পর পা শুকনো করে মুছে নিন। বিশেষ করে গোড়ালির অংশ যেন কখনও ভিজে না থাকে। তাতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ বাড়তে পারে।
২) বর্ষায় এমনিতে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি বলে হাত-পা খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। টান ধরছে ত্বকে। ডায়াবেটিকদের জন্য বেশি শুষ্কতা ভাল নয়। তাই ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করুন। পায়ের আঙুল এবং গোড়ালিতে ভাল করে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখুন।
৩) বাড়িতে থাকলেও কখনও খালি পায়ে হাঁটবেন না। কারণ,পায়ের সাড় কমে যায় বলে কোনও ভাবে কেটে গেলে কিংবা ফোস্কা পড়লে টের পাবেন না। সেখানে ময়লা ঢুকে সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে।
৪) বর্ষায় সপ্তাহে ১৫ দিন অন্তর পেডিকিয়োর করা জরুরি। তবে পার্লারে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পেডিকিয়োর করা হয়। ডায়াবেটিকদের জন্য সেটা এড়িয়ে চলাই ভাল। তার চেয়ে বাড়িতেই শ্যাম্পু, গরম জল দিয়ে পেডিকিয়োর করে নিতে পারেন।