অনেকেরই নাক সুড়সুড় করে একটানা হাঁচি শুরু হয়। ছবি: প্রতীকী
ধুলোবালি থেকে ফুলের রেণু, কী থেকে কার হাঁচি শুরু হয় বলা মুশকিল। আসলে অবাঞ্ছিত কোনও বস্তু নাকের মধ্যে প্রবেশ করলে শরীর চেষ্টা করে তা বার করে দিতে। শীতকালে আরও বেড়ে যায় এই সমস্যা। বেড়ে যায় অ্যালার্জির সমস্যাও। অনেকেরই নাক সুড়সুড় করে একটানা হাঁচি শুরু হয়। যাঁর হাঁচি হচ্ছে তিনি তো বটেই, ত্রস্ত হয়ে ওঠেন পরিজনও। এমন সময়ে কী যে করতে হবে, বোঝাও যায় না। রইল এমন কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের সন্ধান, যা এই সমস্যায় কিছুটা আরাম দিতে পারে।
১) আলোর দিকে তাকাবেন না। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও অনেকেরই অতিরিক্ত আলোয় হাঁচির সমস্যা বেড়ে যায়। একে ‘ফোটিক স্নিজিং’ বলে। এই সমস্যা সাধারণত বংশগত হয়।
২) হাঁচি থামানোর ক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগে মধু। হাঁচির ফাঁকে এক চামচ মধু গলায় গেলে দ্রুত থেমে যেতে পারে হাঁচি।
৩) নাক চেপে ধরে রাখুন। আসলে নাসিকা গহ্বরের ভিতরের দেওয়ালে অসুবিধার সৃষ্টি হলে অনেক সময় হাঁচি আসে। নাক চেপে ধরলে সেই সুড়সুড়ি লাগার মতো অনুভূতি কমে। তবে নাক চেপে ধরে রাখতে গিয়ে হাঁচি আসলে তা রুখতে গেলে চোট লাগতে পারে।
একটানা হাঁচির নেপথ্যে থাকতে পারে কোনও গভীর শারীরিক অসুস্থতাও। ফাইল চিত্র
৪) ইউক্যালিপটাস তেলের গন্ধ নাকে গেলে হাঁচি থেমে যেতে পারে। হাঁচি হওয়ার প্রবণতা থাকলে রুমালে ২-৩ ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল দিয়ে দিন। তা কিছু ক্ষণ নাকের সামনে ধরে রাখুন।
তবে মনে রাখবেন, এই সবই ঘরোয়া টোটকা। একটানা হাঁচির নেপথ্যে থাকতে পারে কোনও গভীর শারীরিক অসুস্থতাও। শুধু অ্যালার্জি নয়, স্নায়ুর সমস্যা, এমনকি মাথার টিউমার থেকেও অনবরত হাঁচি হতে পারে। তাই কেন এমন হচ্ছে, তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।