বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করেছেন ওমিক্রন নিয়ে। ছবি: সংগৃহীত
বর্ষবরণের আনন্দের মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড। বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করেছেন ওমিক্রন নিয়ে। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে বর্ষবরণ নিয়ে জারি হয়েছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা। পশ্চিমবঙ্গের কোভিড পরিস্থিতিও ক্রমে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় নিজে এবং পরিজনদের রক্ষা করতে বর্ষবরণের উদ্যাপনেও থাকুক সতর্কতা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। জন সমাগম এড়িয়ে চলুন। বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটের ভিড় দেখে কার্যত শিউরে উঠেছিলেন নাগরিকদের একাংশ। নতুন বছরে তাই এই বিষয়ে সতর্ক না হয়ে উপায় নেই। বিশেষত কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে যে হারে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, তাতে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাই এই বছর বর্ষবরণে বাইরে ঘোরাঘুরি না করাই ভাল।
২। নিজের বাড়িতেও বড় ধরনের জমায়েত থেকে বিরত থাকুন। নতুন বছরে পার্টি করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু মনে রাখবেন, এক দিনের পার্টির খেসারত ১৪ দিন গৃহবন্দি হয়ে দিতে হতে পারে। যদি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করতেই চান, তা হলে তা সীমাবদ্ধ রাখুন অল্প কয়েক জনের মধ্যেই।
৩। শিশু ও বয়স্কদের দূরে রাখুন। ষাটোর্ধ্ব যে কোনও মানুষের জন্যই কোভিড অনেক বেশি ভয়াবহ। সে টিকা দেওয়া থাকুক বা না থাকুক। আর শিশুরা তো এখনও টিকা পায়নি। কাজেই মন খারাপ হলেও নতুন বছরের উদ্যাপন থেকে দূরেই থাকতে হবে তাদের।
৪। খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত থাকলে কাগজের কাপ বা থালা ব্যবহার করুন। ব্যবহার হয়ে গেলে ফেলে দিন আলাদা করে। পরস্পরের স্পর্শ যত এড়ানো যায়, ততই কমে সংক্রমণের আশঙ্কা।
৫। এ সময়ে সর্দি-কাশিকে অবহেলা করা মানেই বিপদ। প্রাথমিক উপসর্গের দিক থেকে কোভিড ও সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর-সর্দি-কাশিকে আলাদা করা কার্যত অসম্ভব। কাজেই ন্যূনতম উপসর্গ থাকলেও নিমন্ত্রণ এড়িয়ে চলুন। নিজের সুরক্ষার পাশাপাশি অন্যকে সুরক্ষিত রাখাও সকলের কর্তব্য হওয়া উচিত।
এই সব ছাড়াও বার বার জীবাণুনাশক দ্বারা হাত পরিষ্কার করা থেকে মাস্ক ব্যবহার তো রয়েছেই। মনে রাখবেন আনন্দের উদ্যাপনের জন্য কোনও বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। কাজেই এ বার নতুন বছরের মন্ত্র হোক সুস্থ থাকা, সুস্থ রাখা।