রোজ শরীরচর্চার সময় না থাকলেও চিন্তা নেই, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই সব উপায়ে। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে কাজের চাপ বেড়েছে? সংসার, পেশা সামলে শরীরচর্চা করার একটুও সময় পাচ্ছেন না? জিমে যেতেও আলস্য লাগছে। এ দিকে ওজন বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। দিনভর ক্লান্তি। অল্প পরিশ্রমেই ঝিমুনি আসছে। মনমেজাজও বিগড়ে যাচ্ছে যখন তখন। তা হলে উপায়?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানাচ্ছে, দিনভর সতেজ ও চনমনে থাকতে শরীরচর্চা ও সুষম আহারই আদর্শ উপায়। একান্তই যদি শরীরচর্চার সময় পাওয়া না যায়, তা হলেও কিছু উপায় আছে, যা মেনে চললে শরীর ভাল থাকবে। অসুখবিসুখও হবে না চট করে।
১. অফিসে একটানা বসে কাজ করবেন না। প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর উঠে দাঁড়ান। যদি হাঁটাহাঁটি না করতে পারেন, তা হলে নিজের ডেস্কেই কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকুন। এতে শরীরের পেশিগুলি আড়ষ্ট হবে না। রক্ত সঞ্চালনও ঠিকমতো হবে। কাজে করতে করতে ক্লান্তি আসবে না।
২. ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিসেই সময় কেটে যায়। আলাদা করে হাঁটা বা দৌড়নোর সময় নেই অনেকেরই। আইসিএমআরের পরামর্শ, অফিসের ভিতরেই হাঁটুন। প্রতি এক ঘণ্টায় অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট করে হেঁটে নিন। টিফিনের সময় চেষ্টা করুন বাইরে কিছু ক্ষণ হেঁটে আসতে। এতে একঘেয়েমিও কাটবে, শরীর-মন চনমনে থাকবে।
৩. ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটুন। সে বাড়িতে হোক বা কাজের জায়গায়। অন্তত সেই সময়টুকু শরীর নাড়াচাড়া হবে।
৪. চেষ্টা করুন সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করতে। বাড়িতে বা অফিসে আমরা লিফ্টই বেশি ব্যবহার করি। তার পর সারা দিন বসেই কাজ করি। এতে শরীরের খাটাখাটনি হয় না। আইসিএমআর জানাচ্ছে, যদি নিয়ম মেনে শরীরচর্চা না করেও ওজন ধরে রাখতে হয়, তা হলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার অভ্যাস থাকাটা খুব জরুরি। অন্তত দুই থেকে তিন তলা, রোজ হেঁটে উঠুন আর হেঁটে নামুন।
৫. সুবিধা থাকলে গাড়ি অনেকটা দূরে পার্ক করুন। প্রতিদিন যেন গাড়ি থেকে নেমে কাজের জায়গায় আসতে বেশ খানিকটা পথ হাঁটতে হয়। ফেরার সময়েও তাই। রোজের এই অভ্যাস মেনে চললে, অল্প দিনেই শরীর-মনে বদলটা বুঝতে পারবেন।