Durga Puja 2023

পুজোর ক’দিন বাইরে খেয়েও সুস্থ থাকবেন কী করে? পুষ্টিবিদ জানালেন ফিট থাকার মন্ত্র

রোজ বাইরের খাবার খেলে দেখা দিতে পারে পেটের গোলমাল। উৎসবের আবহে সুস্থ থাকাটা সবচেয়ে জরুরি। পুজোয় দেদার খাওয়াদাওয়া করেও কী ভাবে চাঙ্গা রাখবেন নিজেকে? উপায় বাতলে দিলেন পুষ্টিবিদ ও যাপন সহায়ক অনন্যা ভৌমিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৩০
Share:

ভাল-মন্দ খেয়েও শরীর চাঙ্গা রাখবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

পুজো মানেই সাজগোজ আর প্রচুর খাওয়াদাওয়া। এই সময় সকাল-বিকেল-রাত চলে দেদার ভূরিভোজ। পুজোর এই ক’টা দিন অনেকেই বাড়িতে রান্না করেন না। ঠাকুর দেখার ফাঁকে স্ট্রিটফুড আর রেস্তরাঁর খাবারই ভরসা! রোজ বাইরের খাবার খেলে দেখা দিতে পারে পেটের গোলমাল। উৎসবের আবহে সুস্থ থাকাটা সবচেয়ে জরুরি। পুজোয় দেদার খাওয়াদাওয়া করেও কী ভাবে চাঙ্গা রাখবেন নিজেকে উপায় বাতলে দিলেন পুষ্টিবিদ ও যাপন সহায়ক অনন্যা ভৌমিক।

Advertisement

১) শরীর চাঙ্গা রাখতে সবার আগে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করতে হবে। পুজোর ক’দিন হইহুল্লোড়ের মাঝে দিনে আড়াই লিটার জল খেতে ভুললে চলবে না।

২) বেশির ভাগ সময় ভাল খাবার খেয়ে আমাদের পেট ভরে গেলেও মন ভরতে চায় না। এই করে অনেকটা বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তবে পুজোর পাঁচ দিন দু’বেলা ভালমন্দ খেতে হলে খাবারের পরিমাপের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। পুজোর ক’দিন মটন বিরিয়ানি খেতেই পারেন, তবে অতিরিক্ত যেন না খেয়ে ফেলেন সেই বিষয় সজাগ থাকুন। খাবার নিয়ে খাবার সময় ভাবতে হবে।

Advertisement

৩) পুজোর সময় আলাদা করে শরীরচর্চা করার সময় হয় না, তবে চাঙ্গা থাকতে হলে দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করতে হবে। আলাদা করে সময় বার করতে না পারলেও মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখার সময় হাঁটাহাঁটি করলেও চলবে। শরীর যত সচল রাখবেন ততই ভাল।

৪) যাঁরা ক্রনিক পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া নিষেধ আছে। পুজোর সময়ে ভুলেও সেই নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে চলবে না। খাওয়াদাওয়া করুন, তবে শরীরের খেয়াল রেখে। তাঁরা বাইরে খেতে পারেন, তবে যে খাবারগুলি একেবারে বারণ সেগুলি ইচ্ছে করলেও খাওয়া চলবে না।

সকাল থেকে রাত অবধি একই তেলেভাজা খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।

৫) পুজোর সময় বাইরের খাবার খেলে অসুবিধা নেই, তবে কোন জায়গা থেকে খাবার খাচ্ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তার ধারে যে দোকানগুলিতে সকাল থেকে রাত অবধি একই তেলে ভাজাভুজি হয়, সেই খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।

পুজোর সময় হজমের সমস্যা কিংবা পেটের গন্ডগোল এড়িয়ে চলতে হলে সকালে উঠে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনন্যা। ৭-৮ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জলে জিরে ভিজিয়ে রেখে খেলে তবেই সুফল পাবেন। এ ছাড়া পেটের গোলমাল এড়িয়ে চলতে রাস্তার জল ভুলেও খাবেন না। ভাল সংস্থার বোতলবন্দি জল খাওয়া যেতে পারে, খুব ভাল হয় যদি ঘোরাঘুরির সময় নিজের বোতলটি সঙ্গে রাখা যায়। রাস্তায় বিক্রি হওয়া লেবুর শরবত, নরম পানীয়, ফুচকা, কুলফির মতো খাবার এই সময় না খাওয়াই ভাল। রোল, চাউমিন খেলে আগে থেকে কেটে রাখা স্যালাড এড়িয়ে চলুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement