মিষ্টি খেয়েও কি নোরা ফতেহির মতো রোগা থাকা সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল মিষ্টির প্রতি ভালবাসা। খাওয়ার পর একটু মিষ্টির স্বাদ না নিলে অনেকেরই চলে না। মিষ্টি স্বাদের যত্ন নেয়। কিন্তু সেই সঙ্গে ওজনও বাড়িয়ে দিতে পারে। মিষ্টি প্রেম যে স্থূলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে, তা অজানা নয় কারও। কিন্তু তা সত্ত্বেও মিষ্টির প্রতি টান সহজে ভোলার নয়। পুষ্টিবিদরা কিন্তু জানাচ্ছেন, মিষ্টি খেয়েও রোগা থাকা সম্ভব। তার জন্য বাকি খাওয়াদাওয়ার উপরে রাশ টানা জরুরি। একটু নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলে মন ভরে মিষ্টি খেয়েও ওজন থাকবে হাতের মুঠোয়।
খাওয়াদাওয়ায় ভারসাম্য থাক
সারা দিনের খাবারে একটা ভারসাম্য থাকা জরুরি। সব সময়েই শুধু প্রোটিন কিংবা ফাইবার খেয়ে গেলে চলবে না। সব কিছু মিলিয়ে খেতে হবে। ধরুন সকালের পাতে যদি প্রোটিন থাকে, সে ক্ষেত্রে দুপুরে চেষ্টা করুন ফাইবার আর কার্বোহাইড্রেট বেশি করে রাখতে। দুগ্ধজাতীয় খাবার খেতেও ভুলবেন না। ফল, ড্রাই ফ্রুটসের মতো খাবারও রাখতে হবে রোজের পাতে।
মিষ্টি খাওয়া চালিয়ে যেতে ছোটখাটো কয়েকটি নিয়ম মানা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের পরিমাণ কমান
কী খাচ্ছেন সেটার চেয়েও কতটা খাচ্ছেন, তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে সব কিছু খেয়েও রোগা থাকতে পারেন। শুধু খাবারের পরিমাণে রাশ টানা প্রয়োজন। রোজ বিরিয়ানি খেলেও ওজন বাড়বে না। যদি বিরিয়ানির পরিমাণ সামান্য হয়। সব খাবারের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। মিষ্টি খাওয়া চালিয়ে যেতে ছোটখাটো কয়েকটি নিয়ম মানা জরুরি।
শাকসব্জি বেশি খান
ফল আর শাকসব্জিতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ শরীরের রহস্য। তাই রোজের পাতে শাকসব্জি রাখতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে মরসুমি ফল। এই দুইয়ের গুণেই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। মিষ্টি খেয়েও রোগা থাকার অন্যতম কৌশল হতেই পারে এই খাদ্যাভ্যাস।