ঋতুস্রাবকালীন ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায়ে অনেকেই নানা টোটকা মেনে থাকেন। প্রতীকী ছবি।
মাসের কয়েকটি দিন অস্বস্তিতে কাটে মহিলাদের। ঋতুস্রাব চলাকালীন স্বাভাবিক ভাবেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। গা গোলানো, বমি বমি ভাব, খাওয়াদাওয়ায় অনীহা তো লেগেই রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক হল পেটে ব্যথা। তলপেট থেকে তৈরি হওয়া ব্যথা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে কোমর, হাঁটু এবং পা পর্যন্ত। চলাফেরার শক্তিও যেন ক্ষীণ হয়ে আসে। এই সময়ে বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না অনেকেই। ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন। ঋতুস্রাবকালীন ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায়ে অনেকেই নানা টোটকা মেনে থাকেন। গরম জলে সেঁক দেওয়া, গরম জল খাওয়া, বিশ্রাম নেওয়া— এগুলি করে ব্যথার তীব্রতা কিছুটা হলেও কমানো যায়। অনেকে আবার ব্যথা কমাতে ওষুধও খান। তবে এই ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া জরুরি। তবে ওষুধ খাওয়ার চেয়ে ঘরোয়া কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্যথা কমবে।
১) এই সময়ে শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান প্রয়োজন। যে কোনও ব্যথা-বেদনা এড়াতে এই ভিটামিন দারুণ উপকারী। ভিটামিন ডি হাড় ও পেশীর ব্যথার সঙ্গেও লড়তে পারে। ঋতুস্রাব চলাকালীন রোদ্দুরে গিয়ে কিছু ক্ষণ দাঁড়ান। উপকার পাবেন।
২) ঋতুস্রাবের সময়ে মারাত্মক পেটে ব্যথা থেকে উপশম দিতে পারে আদা। জ্বর বা মাথাব্যথা হলেও অনেকে আদা চা খান। তেমনই পেটে বা কোমরে ব্যথা হলে আদা চা খেতে পারেন। অথবা রান্নায় আদা বেশি পরিমাণে দিন।
ঋতুস্রাবের সময়ে মারাত্মক পেটে ব্যথা থেকে উপশম দিতে পারে আদা। ছবি: সংগৃহীত।
৩) হরমোনের ওঠানামার জন্যই এই সময়ে পেটে ব্যথা হয়। তাই হরমোন ঠিক করতে রোজ আধ ঘণ্টা করে অন্তত যোগাসন করুন। এতে পেশি শক্তিশালী হয় ও হরমোন জনিত সমস্যাও কমে যায়। ফলে ঋতুস্রাবের সময়েও অত কষ্ট হয় না।
৪) ঋতুস্রাবের সময়ে মেজাজও ভাল থাকে না। অবসাদ, ক্লান্তি জন্য আরও অসুস্থ লাগে। ব্যথা বাড়ে। মন চাঙ্গা থাকে এমন কোনও কাজ করতে পারেন এই সময়ে। পছন্দের খাবার খেতে পারেন। সিনেমা দেখতে পারেন। যাতে আনন্দ হবে এমন কাজই বেশি করে করুন।