হাত ধোয়ার নিয়মকানুন। ছবি: সংগৃহীত।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি হলেও বঙ্গে বর্ষা ঢুকতে বেশি দেরি নেই। দোরগোড়ায় বর্ষাকাল। বর্ষায় প্রকৃতির রূপ বদলে যায়। জলকাদা বাদ দিলে সুন্দর, মনোরম হয়ে ওঠে চারপাশ। বর্ষার জল পেয়ে গাছপালাও সবুজ হয়ে ওঠে। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, এই সময় সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে। বিশেষ করে বর্ষায় পেটখারাপ, পেটের গোলমাল লেগেই থাকে। তাই সাবধানে থাকা জরুরি। কোনও জীবাণু যাতে কাছে ঘেঁষতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর তাই করোনাকালের মতো বর্ষায়ও ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ডওয়াশ। খেতে বসার আগে, বাইরে থেকে ফিরে, এমনকি হেঁশেলের কাজ শেষ করার পরেও হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া জরুরি। কিন্ত হ্যান্ডওয়াশ কেনার আগে কোন বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে নেবেন?
১) জীবাণু নাশ করার ক্ষমতা অগ্রাধিকার পাবেই। তার জন্যই তো বার বার হাত ধোয়া। হাত পরিচ্ছন্ন না থাকলে সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে নাক-কান-গলায়। ফলে অসুস্থতা এড়িয়ে চলতে হাত পরিষ্কার রাখা দরকার। আর তার জন্য হ্যান্ডওয়াশের জীবাণুনাশক ক্ষমতা যথেষ্ট থাকা প্রয়োজন।
২) যতই অসুখের ভয় থাক, তাই বলে হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করার পর হাত শুঁকলে যদি সুন্দর গন্ধ নাকে না আসে, তা হলে আর এত কষ্ট কেন! এমন কোনও হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন, যা মন ভাল করতে পারবে। কোনও ফুল বা পছন্দের ফলের গন্ধযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ কিনুন। গন্ধের প্রভাব মনের উপরে পড়বে। মানসিক অবস্থা চনমনে হবে।
৩) ক্রিমযুক্ত কোনও হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন। তাতে হাতের কোমল ভাব বজায় থাকবে। বর্ষায় বার বার হাত ধোয়া জরুরি। কিন্তু সাবান ব্যবহার করলে হাতের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সে দিকে খেয়াল রেখেই হ্যান্ডওয়াশ বেছে নিতে হবে।