থাইরয়েড থাকলে কী ভাবে বাগে রাখবেন ওজন? ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হতে চাইলে পরিশ্রম করতেই হবে। অনেকে তা করেও থাকেন। জিমে যাওয়া, বাড়িতে শরীরচর্চা করা, নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া— রোজের রুটিনে এগুলি মেনে চলেন কড়া নিয়ম মেনে। অথচ এত কিছুর পরেও মনের মতো ফল না পাওয়া গেলে তখন আবার শুরু হয় হতাশা। অনেকেই তাতে ধৈর্য এবং উৎসাহ— দুই-ই হারিয়ে ফেলেন। চিকিৎসকরা বলছেন, অনেক সময় শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে চেষ্টা করেও কমতে চায় না ওজন। বিশেষ করে কারও যদি থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে বিস্তর চেষ্টা করেও, অনেক সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে চায় না। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে বিপাকীয় হার কিছুটা কমে যায়। ফলে হজমের গন্ডগোলের মতো কিছু কারণে ওজন বাড়তে থাকে। জেনে নিন, থাইরয়েডের কারণে যাঁদের ওজন বেড়েছে, তাঁরা কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
১) না খেয়ে বেশি ক্ষণ থাকবেন না। একসঙ্গে বেশি খাবারও খাবেন না। অল্প করে বারে বারে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে ওজনও কমে।
২) নিয়মিত শরীরচর্চা করে যেতেই হবে। রোগা হতে চাইলে এর কোনও বিকল্প নেই। জিমে হোক বা বাড়িতে— শারীরিক কসরত করতেই হবে। এতে যে শুধু ওজন কমবে তা নয়, থাইরয়েডের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কার্ডিয়ো করতে পারেন। দ্রুত ফল পাবেন। প্রয়োজন হলে জিম প্রশিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন। আর জিমে যেতে ইচ্ছে না করলে বাড়িতেই যোগাসন করুন।
৩) থাইরয়েডের সমস্যায় মিষ্টি খেলে খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে ওজন বাড়তে থাকলে সেই অভ্যাসে রাশ টানা প্রয়োজন। মিষ্টির বদলে এক বাটি তাজা মরসুমি ফল খেতে পারেন।
৪) সব রকম নরম ও রঙিন পানীয় এড়িয়ে চলুন। এতে যে পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তা অল্প সময়েই ওজন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। থাইরয়েড থাকলে এই পানীয়গুলি এড়িয়ে চলুন। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটন্দি খাবারও বাদ দিতে হবে রোজের ডায়েট থেকে।
৫) ওজন কমাতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। বেশ কিছু গবেষণা বলছে, ঘুমের অভাব স্থূলতার কারণ হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। ঘুম কম হলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।