পেট ফাঁপা মানেই ঢেকুর কিংবা বাতকর্মের বিড়ম্বনা। ছবি-প্রতীকী
ছুটির দিনে দুপুরের মেনুতে কচি পাঠার ঝোল। কিন্তু সকালে লুচি-আলুর দম খেতেই পেট ফেঁপে ঢোল! দুপুরের খাওয়াদাওয়া মাথায় ওঠার অবস্থা। এ হেন সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কেবল খাওয়াদাওয়াই নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস কিংবা হজমের বিভিন্ন সমস্যা থেকেও ফাঁপতে পারে পেট। আর পেট ফাঁপা মানেই ঢেকুর কিংবা বাতকর্মের বিড়ম্বনা। তাই দরকার চটজলদি সমাধান।
ম্যাজিকের মতো গায়েব হবে পেট ফাঁপার সমস্যা! ছবি- সংগৃহীত
১। ঈষদুষ্ণ জল
হালকা গরম জল খাদ্যনালি সাফ করতে বেশ কার্যকর বলে মনে করেন অনেকে। পেট ফাঁপার সমস্যা কমাতে খাওয়ার আধঘণ্টা পর ২০০ মিলিলিটার গরম জল পান করতে পারেন। তবে গরম বলতে যেন মুখ পুড়ে যাওয়ার উপক্রম না হয়।
২। হাঁটাহাঁটি
অনেক সময় গ্যাস হয়ে গেলেও ফেঁপে যেতে পারে পেট। আর জমে থাকা বায়ু বেরিয়ে যেতে পারে হাঁটাহাঁটি করলে। কুড়ি ফুট সজোরে হেঁটে তিন বার পেট ভিতরের দিকে টেনে ধরুন। তিন-চার বার এই ভাবে হাঁটাহাঁটি করলে কমে যেতে পারে পেট ফাঁপা।
৩। আদা কুচি
আদা কুচি কিছুটা জলে মিশিয়ে খেলে আরাম মিলতে পারে পেট ফাঁপার সমস্যায়। সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এই পানীয় খাদ্যনালির ভিতরে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভাল করে পাচনও।
৪। মানসিক স্বাস্থ্য
উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও অস্থিরতা পেটের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক সময় দেখবেন উদ্বেগ বেড়ে গেলে পেট গুড়গুড় করা বা পেট কামড়ানোর মতো সমস্যা বেড়ে যায়। দেখা দেয় পেট ফাঁপাও। এই ধরনের সমস্যা থাকলে ঠান্ডা হয়ে বসুন।
৫। ড্রাই ফ্রুট
খাবার খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর কাঠবাদাম, কিসমিস, কিংবা আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেতে পারেন। খেতে পারেন আগে থেকে শুকিয়ে রাখা আমলকিও।
তবে মনে রাখবেন, এই সব টোটকাই অস্থায়ী সমাধান। দীর্ঘ দিন যদি এই সমস্যা থেকে যায়, তবে তা গভীর কোনও রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই বেশি দিন এই সমস্যা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।