এক বার ফোস্কা পড়লে পরবর্তী দু’-তিন দিন হাঁটা-চলা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। ছবি-প্রতীকী
পছন্দের জামার সঙ্গে মানানসই জুতো না হলে অনেকেরই মনখারাপ হয়ে যায়। তবে যত দামি জুতোই হোক না কেন, নতুন জুতো পায়ে পরে ঘণ্টাখানেক হাঁটাহাঁটির পর গোড়ালির পিছন দিকে কিংবা বুড়ো আঙুলের তলায় ফোস্কা পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক বার ফোস্কা পড়লে পরবর্তী দু’-তিন দিন হাঁটা-চলা করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
এই সমস্যা অনেকেরই হয়। নাজেহাল হন কমবেশি সকলেই। এই অবস্থায় কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১) অ্যালো ভেরা ফোস্কা সারিয়ে তুলতে কার্যকর। অ্যালো ভেরার প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা আছে। ক্ষতস্থানের ফোলা ভাব এবং জ্বালা কমাতে সহায়তা করে। ফোস্কা সারিয়ে তুলতে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। জেল শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিন বার লাগালেই অনেকটা স্বস্তি পাবেন।
২) গ্রিন টি-রও প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা আছে। এটি ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ উৎস। গরম জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি টি ব্যাগ ডোবান। তার পর ব্যাগটি ঠান্ডা হতে দিন। টি ব্যাগটি নিয়ে ফোস্কার জায়গায় বেশ কিছু ক্ষণ লাগিয়ে রেখে দিন। বেকিং সোডার অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। দিনে দু’-তিন বার এই প্রক্রিয়াটি করলেই সুফল মিলবে।
৩) ক্ষতস্থানে নারকেল তেলও লাগাতে পারেন। নারকেল তেল এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। নারকেল তেল টিস্যু মেরামতের পাশাপাশি, ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া, পেট্রোলিয়াম জেলিও লাগাতে পারেন। দিনে দু’বার ১৫ মিনিট উষ্ণ জলে পা ভিজিয়ে রাখুন। ভাল করে তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। তার পর ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। উষ্ণ জল ব্যথা এবং সংক্রমণকে প্রশমিত করতে বেশ উপকারী।