অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে ‘মিলিটারি’ কায়দা কাজে লাগাতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যরাত পর্যন্ত ওয়েব সিরিজ় দেখা, তার পর বাকি রাতটা বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করে কাটিয়ে দেওয়া— এমন সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। অনিদ্রাজনিত অসুখ ডেকে আনে আরও হাজার রোগ। স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ— শরীরে নানা জটিলতা বাড়ে এই অনিদ্রার সমস্যার হাত ধরেই।
ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোনোর অভ্যাসও অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম নয়। আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবন, উদ্বেগ, নানা ব্যস্ততার জেরে রাতের ঘুমের সময়সীমা কমে পাঁচ-ছ’ঘণ্টায় এসে ঠেকেছে অনেকের ক্ষেত্রেই। এরই মাঝে যদি অনিদ্রা হানা দেয়, তবে সারা দিনের কাজে যেমন তার প্রভাব পড়ে, তেমনই ক্ষতি হয় শরীরেরও।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে ‘মিলিটারি’ কায়দা কাজে লাগাতে পারেন। ভাবছেন তো সে আবার কোন কায়দা? ‘রিল্যাক্স অ্যান্ড উইন: চ্যাম্পিয়নশিপ পারফরম্যান্স’ বইতে দু’মিনিটে কী ভাবে ঘুম আনা যায়, সেই পদ্ধতির উল্লেখ রয়েছে। মূলত সেনাবাহিনীর কর্মীদের জন্যই এই পদ্ধতির উদ্ভব করা হয়। ইউনাইটেড স্টেটস নেভি প্রি-ফ্লাইট স্কুল সেনাকর্মীদের জন্য একটি রুটিন তৈরি করে, যা মেনে চলার পর সেনাকর্মীরা দু’মিনিট বা তারও কম সময়ে ঘুমিয়ে পড়তে শুরু করেন। ছ’সপ্তাহের অনুশীলনের পর এমনটা সম্ভব হয়। এই পন্থা মেনে চললে কফিই হোক বা গুলিগোলার শব্দ, কোনও কিছুই নাকি ঘুম আসায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে না।
দু’ মিনিটে ঘুম আনতে হলে কী কী করতে হবে?
১) চোখ বন্ধ করে মুখ শিথিল করুন। মুখের পেশি যেন সঙ্কুচিত না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে।
২) দুই হাত শরীরের দু’পাশে রেখে কাঁধের কাছের পেশিগুলি শিথিল করুন।
৩) গভীর শ্বাস নিন। ৪-৭-৮ পন্থা মেনে চলুন। অর্থাৎ, ৪ সেকেন্ড ধরে শ্বাস নিন, ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন আর ৮ সেকেন্ড ধরে নিশ্বাস ছাড়ুন।
৪) এর পর পায়ের পেশিগুলি শিথিল করুন।
৫) ১০ সেকেন্ড ধরে মনে মনে কোনও শান্ত হ্রদের ছবি চিন্তা করে মন শান্ত করুন।
৬) তখনও ঘুম না এলে ১০ সেকেন্ড ধরে ‘চিন্তা করব না’ কথাটি আওড়াতে থাকুন।