কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওটস খেলে। ছবি: সংগৃহীত
বানানোর পদ্ধতিও সহজ এবং পুষ্টিকরও বটে, যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন তাঁদের জন্য প্রাতরাশে ওটস একটি অত্যন্ত পছন্দের খাবার। এই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। ওটসে ক্যালোরির মাত্রাও অত্যন্ত কম।
এ ছাড়াও ওজন ঝরাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে ওটসের কোনও তুলনা নেই। এতে প্রচুর ফাইবার আছে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওটস খেলে।
দুধের সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে খাওয়ার সময় অনেকেই স্বাদ বাড়াতে চিনির ব্যবহার করেন। যার ফলে ওজন ঝরানোর স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। দেখে নেওয়া যাক ওজন বৃদ্ধি এড়াতে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ওটমিলে কী কী যোগ করা যায়।
১)বিভিন্ন ধরনের বাদাম সাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এগুলির মধ্যে আখরোট সবচেয়ে পুষ্টিকর। ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিনে ভরপুর আখরোট। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভাল এবং ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই সুসাস্থ্য পেতে ওটসের সঙ্গে বাদাম খাওয়া ভীষণ উপকারী।
প্রতীকী ছবি
২) ওটমিলে আপনার পছন্দের যে কোনও বেরি দিতেই পারেন। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি বা রাস্পবেরি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে ভরপুর। বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে। এ ছাড়াও, এগুলি ফাইবারে পরিপূর্ণ যা দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। বেরিতে থাকা ভিটামিন ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। বেরি যোগ করলে ওটমিলের স্বাদও বাড়ে।
৩) ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে প্রাতরাশে প্রোটিন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গ্রাম চিয়া বীজে ১৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ফলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে। এ ছাড়া, চিয়া বীজে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পারে।
৪) একান্তই মিষ্টি ছাড়া ওটমিল খেতে না পারলে মধু বা গুড়ের মতো স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার যোগ করা যেতে পারে। চিনি এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এতে ক্যালোরি বেশি থাকে। তা ছাড়াও ওটসের সঙ্গে কলা, আপেল জাতীয় ফলও খেতে পারেন। মিষ্টি ফল দিলে চিনির অত প্রয়োজন পড়বে না।