অফিসে খাওয়ার পরেই ঘুম পেলে কী করবেন? ছবি: শাটারস্টক।
দুপুরে পেট ভরে খাওয়াদাওয়া করে ল্যাপটপের সামনে বসতেই চোখ যেন ঘুমে ঢুলে আসে। এই সমস্যায় অনেকেই কমবেশি ভোগেন। কেন এমনটা হয় বলুন তো? কর্মব্যস্ততার মাঝে কোনও রকমে খাওয়াদাওয়া সেরে কাজে বসা হয় এই ভেবে যে এতে শরীর চাঙ্গা হবে, কাজেও মন বসবে। কিন্তু খাওয়ার পর ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটে, শরীর আরও ঝিমিয়ে পড়ে। খাবার পরের এই ক্লান্তিভাব ‘ফুড কোমা’ নামে পরিচিত। কী ভাবে এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব?
১) দুপুরের খাবারে শস্যজাতীয় এবং ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন। বিরিয়ানি, পিৎজ়া, তেলেভাজার মতো অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং কার্বোনেটেড নরম পানীয় দুপুরে খাবেন না। অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বি দুপুরে খেলেই ঘুম পাবে।
২) ফাইবারে ভরপুর সবুজ শাকসব্জি দুপুরের টিফিনে খেতে পারেন। ফাইবার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে আপনার ঘুম ঘুম ভাব দূর হবে। খুব বেশি খাবার এক বারে খাবেন না। অল্প অল্প খাবার বারে বারে খান। খেয়েই এক জায়গায় বসে থাকবেন না, একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
৩) বাড়ির খাবার সঙ্গে রাখুন। বাইরে থেকে খেলেই ভুলভাল খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
খাবার পরের ক্লান্তিভাব ‘ফুড কোমা’ নামে পরিচিত। ছবি: শাটারস্টক।
৪) রাতে সাত-আট ঘণ্টার ঘুম যেন সম্পূর্ণ হয়, সে দিকে নজর রাখুন। রাতে ঘুম ঠিকঠাক হলেই আলস্য কাটে। ভাল ঘুমের কারণে শরীরে লেপটিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের খাবার পরিপাকে সাহায্য করে। এ ছাড়া খাওয়ার পর এই হরমোন আমাদের মস্তিষ্কে জানান দেয় যে, আমাদের পেট ভরা। ঘুম কম হলে শরীরে গ্রেলিন নামের হরমোন ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার ফলে বেশি খিদে পায়।
৫) খাওয়ার পর ক্লান্তি কিংবা ঘুম ঘুম ভাব ডায়বিটিস বা প্রি-ডায়বিটিসের লক্ষণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে।