ঘি কী ভাবে খেলে শরীরের উপকার হবে। ছবি: সংগৃহীত।
কোষ্টকাঠিন্য বড় বালাই। পেট পরিষ্কার হলে তবেই তো মুখে হাসি ফুটবে। সারা দিন মেজাজও থাকবে ফুরফুরে। কিন্তু সকাল সকাল শৌচালয়ে গিয়েই যদি তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়, তা হলে দিনের সমস্ত কাজই পণ্ড হতে বসে।
আজকাল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। বড়রা শুধু নয়, ছোটদের মধ্যেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ইদানীং খুব দেখা যাচ্ছে। যার কারণ তাদের খাওয়ার অভ্যাস। চিকিৎসকেরা বলছেন, রোজের ডায়েটে কিছু বদল আনলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলেই একগাদা ওষুধ খেয়ে ফেলা ঠিক নয়। বাজারচলতি সাপ্লিমেন্টও ক্ষতিকর। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘরোয়া উপায়ে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতেই সমস্যার অনেকটা সমাধান হতে পারে। এর জন্য দরকার সামান্য আয়োজন। এক গ্লাস উষ্ণ গরম জল আর এক চামচ ঘি।
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জলে এক চামচ ঘি মেশাতে হবে। ভাল ফল পেতে হল, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তা খেতে হবে। ঘি খেলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দূর হয়। ঘি অন্ত্রের পথ পরিষ্কার করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
ঘি খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমে, বাড়ে উপকারী কোলেস্টেরল। ঘিয়ের মধ্যে আছে বিউটিরেট। কোলনকে সুস্থ রাখতে, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ঘি।
চিকিৎসকেদের পরামর্শ, সুষম খাবারের সঙ্গে মাঝে মধ্যে এক চামচ দেশি ঘি খান। পুষ্টির কাজে আসবে। হার্ট ভাল থাকবে। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘ দিন ধরে ভোগালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ-পথ্য খাওয়াই উচিত। ঘি সকলের সহ্য না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।