রাতের ঘুম হোক নিশ্চিন্তে। ছবি: শাটারস্টক।
ঘরে-বাইরে কাজের চাপ। পেশাগত, ব্যক্তিগত জটিলতাও কম নেই। যে পেশার সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন, সর্বত্রই টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সব মিলিয়ে মনের উপরেও চাপ পড়তে শুরু করে।
শুধু কাজই নয়, মাথায় টাক পড়তে শুরু করা, ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করা—অনেকের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য এই কারণগুলিই যথেষ্ট।
মানসিক চাপ মাত্রাতিরিক্ত হতে শুরু করলে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেককেই ওষুধ খেতে হয়। ঘুম না হলে শরীরে উপরেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই সামলে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কী ভাবে মন শান্ত করবেন, উদ্বেগ বশে রাখবেন়, রইল হদিস।
১. রাত জেগে ওয়েব সিরিজ় বা সিনেমা দেখার স্বভাব রয়েছে অনেকের। এমন কোনও ছবি, সিনেমা বা সিরিজ় দেখবেন না, যা দেখলে আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন। সারা দিনের পর বাড়ি ফিরে পরিবারের ভাল-মন্দ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন অনেকে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন আলোচনার পর্যায়েই থাকে। উত্তেজনা বাড়িয়ে না দেয়।
২. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিনিট দশেক ধ্যান করার অভ্যাস করতে পারেন। হালকা কোনও বাদ্যযন্ত্র বা মেডিটেশন মিউজিক শুনতে শুনতেও ধ্যান করতে পারেন। নিজের মনকে শান্ত করার এই প্রক্রিয়া এক দিনে রপ্ত করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে হবে।
মানসিক চাপ মাত্রাতিরিক্ত হতে শুরু করলে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেককেই ওষুধ খেতে হয়। ছবি:সংগৃহীত।
৩. অনেকেই রাতে ঘুমোনের আগে ডায়েরিতে সারা দিনের যাবতীয় কাজ, কেউ কেউ আবার মনের কথা লিখে রাখেন। মনোবিদরা বলছেন, নিজের ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, ভয়, উদ্বেগের কারণগুলি লিখে রাখতে পারলেও অনেকটা হালকা লাগে। রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোনো যায়। বই পড়ার অভ্যাসও কিন্তু আপনার মনকে শান্ত করতে পারে।
৪. মানসিক চাপ, উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ হল, ডিজিটাল দুনিয়ায় অতিরিক্ত আনাগোনা। কাজ থেকে ফিরে নির্দিষ্ট একটি সময়ের পর থেকে ফোন, ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করার অভ্যাস এবং ডি়জিটাল যন্ত্র থেকে প্রতিফলিত নীলচে আলো মেলানিন হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হয়।
৫. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা জরুরি। অন্যান্য শরীরচর্চার তুলনায় যোগাসন করলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।