ঘুম পর্যাপ্ত না হলে তৈরি হয় হজমের সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। খাওয়াদাওয়ায় হরেক রকমের অনিয়ম, ঠিকমতো জল না খাওয়ার মতো রোজকার ছোট-বড় নানা কাজে বেড়ে যায় পেটের গোলযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা। এমনকি খাবার খাওয়ার পর কোন দিকে পাশ ফিরে শুচ্ছেন, তার উপরেও নির্ভর করে খাবার হজম হবে কি না।
খাওয়ার পরে বাঁ দিকে পাশ ফিরে শুলে হজম ভাল হয় বলে মত বহু পুষ্টিবিদের। কারণ এতে ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে বৃহদন্ত্রে সহজে খাবার চলে যেতে পারে। বাঁ দিকে কাত হয়ে শুলে ‘গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল অ্যাসিড রিফলাক্স’ কমে। এই সমস্যাটি থেকেই তৈরি হয় বুক জ্বালা ও চোয়া ঢেকুরের মতো সমস্যা।
খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু শুতে যাওয়া উচিত নয়। প্রতীকী ছবি।
পাকস্থলী দেহের বাঁ দিক ঘেষে থাকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, বাঁ দিকে কাত হয়ে শুলে পাকস্থলীতে থাকা বিভিন্ন অ্যাসিড সহজে উপরের দিকে তথা খাদ্যনালিতে উঠে আসতে পারে না। তাতেই কিছুতা কমে বুক জ্বালার সমস্যা।
অন্য দিকে, খাওয়ার পরেই ডান দিকে কিংবা চিৎ হয়ে শোওয়া খুব একটা ভাল জিনিস না-ও হতে পারে। কারণ, সে ক্ষেত্রে পেটের অ্যাসিড খাদ্যনালিতে উঠে আসার আশঙ্কা বেশি। তবে যে দিকে ফিরেই শুচ্ছেন, খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু শুতে যাওয়া উচিত নয়। বরং খাবার খাওয়া ও শুতে যাওয়ার মধ্যে অন্তত ঘণ্টাখানেকের ব্যবধান রাখতে হবে। বিশেষ করে যাঁরা অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা কম খাবার খান বে বেশি, খাওয়ার অব্যবহিত পরেই এলিয়ে পড়া চলবে না। তা ছাড়া ঘুম যেন পর্যাপ্ত হয়, মাথায় রাখতে হবে তা-ও। কারণ ঘুম পর্যাপ্ত না হলে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। আর তাতে তৈরি হয় হজমের সমস্যা। শুধু গ্যাস-অম্বলই নয়, দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যও।