সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত
অতিমারি পরবর্তী সময়ে যেমন পরিবর্তন এসেছে জীবনধারায়, তেমন বদলেছে খাদ্যাভ্যাসও। শরীরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে অনেকেই সচেতন হয়ে উঠেছে। সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতাও হ্রাস পেয়েছে।
অতিমারির পরে মানুষের রোজকার খাওয়াদাওয়া কতটা পরিবর্তন এসেছে?
শাকসব্জি খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে
কোভিড পরিস্থিতি চলাকালীন চিকিৎসকরা বারবারই খাওয়াদাওয়ার প্রতি বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ করে শাকসব্জি, ফলমূলের মতো উদ্ভিদজাত খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অধিকাংশ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলেছিলেন। কোভিড সংক্রমণ হ্রাস পেলেও এখনও অনেকের মধ্যে রয়ে গিয়েছে সেই অভ্যাস।
আজকাল অল্প বয়সিরা স্বাদ ও স্বাস্থ্যের একসঙ্গে খেয়াল রাখার দিকে ঝুঁকছে। ছবি: সংগৃহীত
ঝোঁক বেড়েছে বাড়ির তৈরি খাবারের প্রতি
করোনা আগে ব্যস্ততার কারণে অনেকেই বাড়িতে খাওয়ার সুযোগই পেতেন না । করোনা, লকডাউন সব মিলিয়ে অনেকগুলি কাটাতে হয়েছে বাড়িতেই। ফলে ধীরে ধীরে বাড়ির রান্না করা খাবারেই অভ্যস্ত হতে হয়েছে। এখন আবার জনজীবন ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। বাড়ি থেকে কাজের পালাও শেষ হয়ে এসেছে। যেতে হচ্ছে অফিসে। অফিসের ব্যাগে ভরা থাকছে বাড়িতে তৈরি টিফিনের বাক্স। কাজের ফাঁকে খাবার আনিয়ে নেওয়ার বদলে অনেকে বাড়ির খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করছেন।
স্বাস্থ্যকর ‘মুখরোচক’ বেশি পছন্দের হয়ে উঠেছে
কম বয়সিদের মধ্যে বাইরের ভাজাভুজি, তেলমশলাদার মুখরোচক খাবার খাওয়ার আগ্রহ বেশি দেখা যায়। তবে আজকাল অল্প বয়সিরা স্বাদ ও স্বাস্থ্যের একসঙ্গে খেয়াল রাখার দিকে ঝুঁকছে। তাই এমন কিছু খাবার বেছে নিচ্ছে যেগুলি একইসঙ্গে শরীরবান্ধব আবার সুস্বাদুও। ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, শর্করা জাতীয় খাবারের বদলে প্রোটিন বার, মুসলি, ওটমিলেই ভরসা রাখছে নতুন প্রজন্ম।
বেক করা খাবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
তাড়াহুড়োর সময়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক রান্নার পদ্ধতি হল বেকিং। লকডাউনের সময়ে অবসরে অনেকেই রকমারি রান্না করেছেন। কেক বানিয়েছেন। দেশি বিদেশি বিভিন্ন রান্নার অনুষ্ঠান দেখে বেক করা শিখেছেন। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠলেও বেকিংয়ের শখ রয়ে গিয়েছে। পাফ হোক বা কেক— ঘরোয়া উপকরণ মিশিয়ে বেক করে নিলেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে মনপসন্দ খাবার।