শরীর সুস্থ রাখতেও এদের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: শাটারস্টক
কড়া ডায়েট হোক বা বিকেলে মুখ চালানোর জন্য টুকিটাকি স্ন্যাক্স, শুকনো ফলের চাহিদা বরাবরই আছে। তবে রান্না করার পর এই সব শুকনো ফলে সে ভাবে পুষ্টিগুণ অবশিষ্ট থাকে না। তেল-ঘিয়ের সঙ্গে মিশে তা নষ্ট হয়। তার চেয়ে সুস্বাস্থ্য পেতে রান্না না করেই ড্রাই ফ্রুটস রাখুন খাদ্যতালিকায়।
কাজু, কাঠবাদাম, কিশমিশে থাকে ভরপুর মাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার। তাই এর স্বাস্থ্যগুণ অনেক। তবে স্বাদ ভাল বলে কিংবা খিদের পেটে অনেকেই মুঠো মুঠো ড্রাই ফ্রুটস খেয়ে ফেলেন। এই অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। আবার এ সব ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দেওয়াও মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবারে ঠাসা এই ধরনের খাবার যেমন শরীরের মেদ ঝরাতে অনেকটা সাহায্য করে, তেমনই শরীর সুস্থ রাখতেও এদের জুড়ি মেলা ভার। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কী কী খাবেন আর কতটুকুই বা খাবেন?
প্রতীকী ছবি
পুষ্টিবিদদের মতে, আমন্ড, কাজু, কিশমিশ, শুকনো খেজুর, পেস্তা, আখরোট— সব মিলিয়ে ৫০ গ্রামের মতো ওজন হবে, এমন পরিমাণ তৈরি করুন। বিকেলে হালকা খিদে পেলে এটাই খেতে পারেন। তবে ভুলেও নুন দেওয়া ড্রাই ফ্রুটস খাবেন না। বিকেলের খাবারে শুধু খেজুরও খেতে পারেন। দুই থেকে তিনটি খেজুর সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট। কিশমিশ ও কাজু মিশিয়ে খেতে চাইলে কখনওই ওজন ৫০ গ্রাম করে ফেলবেন না। তখন ১০টি কাজু ও ৫টি কিশমিশেই থেমে যান। আমন্ড, পেস্তা ও আখরোট মিশিয়ে খেলে ওজন সীমাবদ্ধ রাখুন ৩০-৪০ গ্রামের মধ্যেই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।