Winter workouts

শীতে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, ঠিক কত ক্ষণ ট্রেডমিলে ছুটলে বিপদ হবে না?

শীতের সময়ে রক্তচাপের হেরফের হয় অনেকের, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই শীতের সকালে ভারী ব্যায়াম করতে হলে তা সময় ধরে ও প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়েই করা উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৭
Share:

শীতে একটানা ভারী ব্যায়াম নয়, কত ক্ষণ করা উচিত? ছবি: ফ্রিপিক।

একটানা ট্রেডমিলে গতি বাড়িয়ে দৌড়ে হার্ট অ্যাটাকের উদাহরণ অজস্র। এমনকি ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতেও আচমকা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কমবয়সি হোন বা পঞ্চাশোর্ধ্ব, ট্রেডমিল, ওয়েট ট্রেনিং বা কার্ডিয়ো যা-ই করুন না কেন, সময় ও শরীর বুঝেই করা উচিত। বিশেষ করে শীতের সময়ে রক্তচাপের হেরফের হয় অনেকের, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই শীতের সকালে ভারী ব্যায়াম করতে হলে তা সময় ধরে ও প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়েই করা উচিত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেডমিলে ছুটলে বিপদ হতেই পারে।

Advertisement

ঠিক কত ক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শীতের সময়ে সপ্তাহে তিন দিন ট্রেডমিল করলেই যথেষ্ট। রোজ করার দরকার নেই। ট্রেডমিল আধ ঘণ্টার বেশি না করাই ভাল। যদি শরীরে অস্বস্তি হয় অথবা বুকে চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়, তা হলে একেবারেই করবেন না।

Advertisement

যে কোনও রকম ওয়েট ট্রেনিং বা কার্ডিয়ো সপ্তাহে পাঁচ দিনের বেশি করা ঠিক নয়। সপ্তাহে ৭৫ মিনিট থেকে ১৫০ মিনিট অবধি সময় রাখতে হবে ভারী ব্যায়ামের জন্য। তবে শরীর বুঝেই। যদি কোনও অসুখবিসুখ না থাকে, তা হলে সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা যেতেই পারে। তার মধ্যেই ট্রেডমিলে দৌড়, ওজন তুলে ব্যায়াম বা কার্ডিয়োর সময় ভাগ করে নেবেন।

নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যায়াম করলে হবে না। প্রশিক্ষক যত ক্ষণ বলবেন, যেমন বলবেন, তেমনটাই করা ভাল। অনেকে বাড়িতেও ট্রেডমিল কিনে অভ্যাস করেন। সে ক্ষেত্রে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভাল।

খাওয়াদাওয়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে ভাবেন, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে যা ইচ্ছে খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ভাজাভুজি বেশি পরিমাণে খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াবে। ফলে অজান্তেই ধমনীতে চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হতে থাকবে। রক্ত সঞ্চালন বাধা পাবে এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়বে।

ভারী ব্যায়াম করলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। শীতের দিনে এমনিতেও জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। যদি ট্রেডমিলে দৌড়নোর অভ্যাস থাকে, তা হলে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতেই হবে। সকাল সকাল শরীরচর্চা করলে ব্যায়াম শুরুর অন্তত ১০-১৫ মিনিট আগে শুকনো ফল কিংবা বাদাম জাতীয় খাবার খেতে পারেন। ব্যায়াম শুরুর আগে পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। তবে চা বা কফি খাওয়া চলবে না।

৪০ বছর বয়সের পরে জিমে যাওয়া শুরু করলে আগে লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করানো জরুরি। মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে ও ইসিজি করিয়ে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা থাকলেও তা ধরা পড়ে যাবে। জিম প্রশিক্ষককে সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখাতে হবে। তা হলেই তিনি শরীর বুঝে ব্যায়াম করাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement