কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে লড়াই করুন ডায়েটে বদল এনে। ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেই আছেন যাঁরা সারা বছর ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক, জল কম খাওয়া, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি আসক্তি, শরীরচর্চা না করা, কড়া ডায়েট— এমন বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে। নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম মেনে না চললে সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে উঠতে পারে। তাই চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের ঘরোয়া খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে শাকসব্জি খাওয়ারও পরামর্শ দেন। আর খেতে হবে ফল।
শাকসব্জির পাশাপাশি ফলও হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের দাওয়াই। ফলে ভরপুর মাত্রায় অদ্রবনীয় ফাইবার থাকে। অনেক ফলে আবার প্রিবায়োটিক ব্যাক্টেরিয়া থাকে, যা অন্ত্রে হজমে সাহায্যকারী ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম দিতে সাহায্য করে। আর হজম ভাল হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে ডায়েটে ফাইবার রাখতেই হবে। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। ডায়েটে জলযুক্ত ফল বেশি করে রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে কোন ফলগুলি বেশি করে খাবেন?
আপেল: আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে যা খুবই জরুরি। ফলে রোজ সকালে একটি করে আপেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
প্রাতরাশে কয়েকটি করে আঙুর খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। ছবি: সংগৃহীত।
আঙুর: এই ছোট্ট ফলেও রয়েছে খাদ্যের নানা ধরনের জরুরি উপাদান। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে জলের জুড়ি মেলা ভার। শরীরে জলের মাত্রা যত বেশি থাকবে, ততই সমস্যা থাকবে দূরে। আঙুরের অনেকটাই জল। তার সঙ্গে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার। ফলে প্রাতরাশে কয়েকটি করে আঙুর খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
কিউয়ি: এই ফলে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। পাশাপাশি, এক-একটি কিউয়িতে থাকে অন্তত আড়াই গ্রাম ফাইবার। তা ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল। সব মিলিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে যথেষ্ট সক্ষম এই ফল।