প্রতীকী ছবি
রোজের ইঁদুর দৌড়ে নিজের জন্য কতটা সময় বার করতে পারে মধ্যবিত্ত বাঙালি? সারা জীবন ১০টা-৫টা কাজ করে অবসর নেওয়ার পর হঠাৎ নিজের জন্য অনেকটা ফাঁকা সময় পেয়ে যান সকলে। কিন্তু হঠাৎ অফুরন্ত সময় পেয়ে অনেকে আবার অস্তিত্ব সঙ্কটেও ভোগেন। রোজের রুটিন এলোমেলো হয়ে পড়ে। সেই থেকেই শুরু হয় শরীরে নানা রকম গোলমাল। অথচ এই অবসর সময়টিই ভাল করে কাটাতে পারলে, শরীর চাঙ্গা রাখা অত্যন্ত সহজ এবং স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কী কী করবেন, জেনে নিন।
১। স্বাস্থ্যকর খাবার খান
কম বয়স থেকেই খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সময় মতো তা হয়ে ওঠে না। অবসর নেওয়ার পর অবশ্য কোনও রকম অজুহাত চলবে না। নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। সময় ধরে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। মদ্যপান অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে হবে। পুষ্টিকর খাবার স্বাস্থ্য ধরে রাখতে পারে বহু দিন।
পরিবারের ছোটদের সঙ্গে আড্ডা দিন
২। শরীরচর্চা করুন খোসমেজাজে
অবসর নেওয়া মানেই সারা দিনে শুয়ে-বসে সময় কাটাবেন না। যতটা পারবেন বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মে নিজেকে যুক্ত রাখুন। সকালে উঠে অল্প হাঁটাহাটি, যোগাভ্যাস, ধ্যান, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করা অভ্যাস করে ফেলুন। বাগান করা, রান্না করা, ছোটখাটো দোকানবাজার, ব্যাঙ্কের কাজ— এগুলি বন্ধ করে দেবেন না। বিকেলে বা রাতে খাওয়ার পরও খানিক হাঁটাহাটি করে নিতে পারেন। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে শরীর সুস্থ থাকবে অনেক দিন। বাড়িতে কোনও পোষ্য রয়েছে কি? না থাকলে এ বার সে বিষয়ে ভাবতে পারেন। পোষ্যের পিছনে দৌড়াদৌড়ি করেও শরীর ফিট থাকে সহজে।
৩। মস্তিষ্ক সজাগ রাখুন
মাথা খাটানো বন্ধ করে দিলেই বয়সজনিত নানা রকম সমস্যা আরও চেপে বসবে। ধাঁধা, সুদোকু, পাজ্ল, শব্দজব্দ করুন নিয়মিত। কোনও নতুন ভাষা শিখতে পারেন। নতুন কোনও শখ মিটিয়ে নিতে পারেন এই সুযোগে— যেমন নতুন ধরনের রান্না কিংবা কোনও বাদ্যযন্ত্র শেখা। কিংবা কবিতা বা গান লেখা, ছবি আঁকা। যা যা কাজ সারা জীবন সংসারের চাপে করা হয়নি, সেগুলি করে ফেলুন। তাতে মন ভাল থাকবে, আবার মস্তিষ্কও সজাগ থাকবে।
৪। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
অবসর নেওয়া মানে বাকি জগতের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া একদমই নয়। তাই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন, আড্ডা মারুন। একসঙ্গে বসে কোনও বিষয় আলোচনা করা, কোনও বই প়ড়া বা সিনেমা দেখার মতো কিছু কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারেন। পরিবারের ছোটদের সঙ্গে আড্ডা দিন। অনেক সময়ে বাড়ির খুদেরাও নানা রকম মজার নতুন জিনিস আমাদের শেখাতে পারে। বন্ধু বা প্রাক্তন সহকর্মীদের সঙ্গে কোথাও বেড়াতেও যেতে পারেন দল বেঁধে। এতে শরীর-মন ভাল থাকবে।