প্রতীকী ছবি
শীত পড়তে না পড়তেই ত্বকের বিবিধ সমস্যা আমাদের জর্জরিত করে ফেলে। এদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হল ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডসগুলি। বিশেষত হোয়াইটহেডসের সমস্যা নিয়ে ইদানীং অনেককেই কথা বলতে শোনা যায়। সাধারণত ত্বকের উপরে গোলাকার, ছোট, সাদা দাগ হিসাবে দেখা দেওয়া এই ধরনের ব্রণ আমাদের লোমকূপকে মৃত কোষ, সিবাম ইত্যাদিতে আটকে নেয়। মুখে ছাড়াও হোয়াইটহেডস সাধারণত কাঁধ, বুক, ঘাড় এবং পিঠেও দেখা যায়। এর আকার পরিবর্তিত হতেই পারে। কখনও কখনও এগুলি এত ছোট হয় যে, তারা কার্যত অদৃশ্যই থাকে। তবে হোয়াইটহেডের থেকে মুক্তি পাওয়া তেমন কঠিন নয়। বাইরে খাওয়াদাওয়া কমিয়ে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি বাড়িতেই কিছু নিয়ম মেনে চললে তরতাজা থাকবে আপনার ত্বক।
অ্যালো ভেরা: অ্যালো ভেরা কিংবা ঘৃতকুমারী একটি উদ্ভিদ-ভিত্তিক উপাদান। এর নির্যাস ত্বকের যত্নের বাজারচলতি পণ্যগুলিতেও পাওয়া যায়। ফলে যদি অ্যালো ভেরা পাতার শাঁস কিছু দিন অন্তর সরাসরি ত্বকে লাগানো যায়, তবে হোয়াইটহেড কমবে অল্প দিনের মধ্যেই।
অ্যালো ভেরা কিংবা ঘৃতকুমারী
টি ট্রি তেল: চা গাছের তেল বা টি ট্রি অয়েল প্রাকৃতিক ভাবেই প্রদাহ বিরোধী উপাদান। যা হোয়াইটহেডগুলি পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে। বিভিন্ন বিউটি পার্লারে তথা নানা সংস্থার রূপচর্চার সমগ্রীতেও কিন্তু টি ট্রি অয়েলের উপস্থিতি আমরা দেখতে পাই।
পেঁপে এবং স্ট্রবেরি: পেঁপেতে রয়েছে উৎসেচক, যা আপনার ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করতে পারে। দূষণের ফলে চামড়ার যে ক্ষতি হয়েছে, তা মেরামত করতে কয়েক টুকরো করে কাঁচা পেঁপে নিয়মিত খেলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যেতে পারে। আর স্ট্রবেরিতেও রয়েছে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, যা ত্বক পরিষ্কার ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে কিংবা চটকিয়ে মুখে স্ট্রবেরি লাগালে হোয়াইটহেড কমবে অনেকটাই।
নিম ও গোলাপ জল: নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এক মুঠো তাজা নিম পাতার ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এতে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মেশান। আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং কিছু ক্ষণ শুকোতে দিন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। হোয়াইটহেডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন নিশ্চিত।