Coronary Artery Disease

হৃদ্‌যন্ত্রে ‘স্টেন্ট’ বসা, ‘বাইপাস সার্জারি’ হওয়ার কত দিন পর ও কী ভাবে শরীরচর্চা করবেন?

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে প্রথম দিনেই সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১৬:১৩
Share:

‘অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি’-র পর শরীরচর্চা করবেন কী করে? ছবি- সংগৃহীত

ফুটবল পাগল সৌরভ পেশায় অর্থদফতরের আধিকারিক। খেলার দৌলতেই তাঁর এই চাকরি। খেলতে গেলে শরীরকে ফিট রাখতেই হয়। প্রতিদিন ভোরে উঠে ১০০ মিটার দৌড়, বিকেলে জিম সবই করতেন। হঠাৎ এক দিন সকালে বুকের বাঁদিকে চিনচিনে ব্যথা। তার পর সোজা হাসপাতাল এবং ‘অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি’।

Advertisement

বছর ৪০-এর সৌরভ, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও শরীরচর্চা বা খেলা, কোনওটিই ছন্দে ফিরছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতে গেলে শরীরচর্চা করতেই হবে। কিন্তু তার জন্যও আলাদা ‘প্রেসক্রিপশন’ থাকা জরুরি।

অস্ত্রোপচারের পর শরীরচর্চারও চাই ‘প্রেসক্রিপশন’ । ছবি- সংগৃহীত

শরীরচর্চার ‘প্রেসক্রিপশন’ বিষয়টি কেমন?

Advertisement

ব্যায়াম সকলের জন্যই জরুরি। কিন্তু এক-এক জনের শারীরিক অবস্থা এক-এক রকম। বিশেষ করে হার্টে কোনও অস্ত্রোপচার হওয়ার পর শারীরিক অবস্থা আবার আগের মতো হতে সময় লাগে। কে কত দ্রুত স্বাভাবিক হবেন, তা-ও ব্যক্তি বিশেষে নির্ভর করে। তাই সেই বুঝে কারা কোন ব্যায়াম করতে পারবেন বা পারবেন না, তার তালিকা তৈরি করে দেওয়া। সাধারণত এই বিষয়ে পারদর্শী যাঁরা বা প্রশিক্ষকরা শরীরচর্চার তালিকা তৈরি করে দেন কিন্তু অস্ত্রোপচার হয়েছে এমন মানুষরা চিকিৎসকের দেওয়া তালিকা বা সম্মতি ছাড়া না এগোনোই ভাল।

প্রতি দিন কত ক্ষণ ব্যায়াম করবেন?

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে প্রথম দিনেই সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার প্রথম এক সপ্তাহ খুব সতর্ক থাকতে হবে। তার পর শরীরের অবস্থা বুঝে, ধীরে ধীরে হাঁটাচলা শুরু করতে হবে। প্রথমে ১০ মিনিট, কষ্ট না দু’-তিন দিন পর থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটা যেতে পারে। যদি কোনও অসুবিধা হয়, এক দিন ছাড়া হাঁটবেন। যদি হাঁটতে গিয়ে বুকে চাপ না ধরে, হাঁপিয়ে না পড়েন, তা হলে দিন ১৫ পর ৩০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটতেই পারেন। তবে মাথায় রাখবেন অন্য কোনও ব্যায়াম নয়। শুধু হাঁটাহাটি। মাস দুয়েকের মধ্যে আবার যখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন, তখন শরীরের অবস্থা দেখে ঠিক করা হবে হাঁটাহাটির সঙ্গে অন্য কিছু যোগ করা হবে কি না।

হাঁটতে গিয়ে কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

১) যদি হাঁপিয়ে পড়েন, তৎক্ষণাৎ বসে পড়বেন।

২) দেহের উপরের অংশে কোনও অস্বস্তি বোধ করলে আর হাঁটবেন না।

৩) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘামলে সতর্ক হয়ে যাবেন।

৪) হঠাৎ যদি বাঁ হাত অবশ হয়ে যায়, সাবধান হবেন।

৫) পেটের নাভি থেকে নাক পর্যন্ত অস্বাভাবিক অনুভূতি হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement