মরসুমি হাঁচি-কাশির দাপট বশে রাখতে হলে বাড়িয়ে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। ছবি: সংগৃহীত।
একবার রোদ থেকে এসে সোজা এসি ঘরে ঢুকছেন। আবার, এসি ঘর থেকেই সোজা রোদে বেরিয়ে পড়লেন। এই করতে গিয়ে সর্দিগর্মি হচ্ছে ঘরে ঘরে। কাশি একবার শুরু হলে সহজে তা কমতে চায় না। অত্যধিক কাশি হলে বুকেও কষ্ট হয়। হাঁচির ক্ষেত্রেও তাই। সারা ক্ষণ নাক সুড়সুড় করে। মরসুমি হাঁচি-কাশির দাপট বশে রাখতে হলে বাড়িয়ে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। তার জন্য মুঠো মুঠো ভিটামিন ওষুধ খেলে হবে না। আয়ুর্বেদে এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। একেবারে ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান নিয়ম করে খেলে এই ধরনের সমস্যা বশে রাখা যায়।
১) মধু, লেবুর রস:
দমকা কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে এটি দারুণ কাজ করে। ঈষদুষ্ণ জলে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে গলার অস্বস্তি, সংক্রমণজাতীয় সমস্যাও কমে।
২) আদা চা:
আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান। মরসুম বদলের সর্দি-কাশি নিরাময়ে এই টোটকা দারুণ কাজ করে। সবচেয়ে ভাল হয় চায়ে আদা মিশিয়ে খেতে পারলে। সঙ্গে একটু মধু দিলেও মন্দ লাগবে না।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে হলুদ দেওয়া দুধের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
৩) হলুদ দেওয়া দুধ:
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে ঘরোয়া এই দাওয়াইয়ের জুড়ি মেলা ভার।