Weight Loss Tips

কম সময় ব্যায়াম করেই মেদ ঝরাতে চান? বাড়িতেই কোন কোন নিয়ম মানলে দ্রুত তা সম্ভব হবে

জিমে ভর্তি হয়েও রোজ যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না! এখন উপায়? মেশিন কার্ডিও না করেই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে কী করে? বাড়িতেই ৩০ মিনিটে গড়ে তুলুন এইচআইআইটি শরীরচর্চার অভ্যাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৫৭
Share:

বাড়িতেই ৩০ মিনিটেই গড়ে তুলুন এইচআইআইটি শরীরচর্চার অভ্যাস। ছবি: শাটারস্টক।

অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ। সেখানে ঢোকার সময় নির্দিষ্ট হলেও কাজ শেষ করে বেরোনোর কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম। আর সমটা মিলিয়ে দিন দিন ভুঁড়ি বাড়ছে। জিমে ভর্তি হয়েও রোজ যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না! এখন উপায়? মেশিন কার্ডিও না করেই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে কী করে? বাড়িতেই ৩০ মিনিটেই গড়ে তুলুন এইচআইআইটি শরীরচর্চার অভ্যাস। হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা এইচআইআইটি শারীরিক ক্ষমতা তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

Advertisement

এইচআইআইটি কী?

অল্প ব্যবধান রেখে দ্রুত গতির শরীরচর্চার নামই এইচআইআইটি। কম সময়ের মধ্যে ওজন ঝরাতে নিয়মিত এই ব্যায়ামের অভ্যাস করতেই পারেন। এই শরীরচর্চার মাধ্যমে হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা তো কমেই, পেশিও শক্তিশালী হয়, নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপ।

Advertisement

কী ভাবে করবেন?

বেশ কয়েকটি প্রচলিত শরীরচর্চা অল্প ব্যবধানে করার নামই হল এইচআইআইটি। যেমন জাম্পিং জ্যাকস, জাম্প স্কোয়াট, প্লাঙ্ক, মাউটেন ক্লাইম্বিং, বারপিজ। এ ছাড়াও আরও অনেক ফ্লোর-কার্ডিও রয়েছে যেগুলি আপনি করতে পারেন। ধরা যাক, আপনি ১৫ মিনিট শরীরচর্চা করবেন। তার মধ্যে ৫ মিনিট করে ৩টে এইচআইআইটি এক্সারসাইজ করবেন। ৫ মিনিটে একটি ওয়ার্কআউট সেটের মধ্যে যদি দুই ধরনের ব্যায়াম করা হয়, তা হলে সেই দুই ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে ধরা যাক ১০ বা ১৫ সেকেন্ডের নামমাত্র বিরতি নিলেন। ওই সামান্য সময়ের বিরতি নিয়েই আবার পরেরটি শুরু করে দিলেন। তার পরের এইচআইআইটি ওয়ার্কআউট শুরু করার আগে আবার ১০ সেকেন্ডের বিরতি নিন। এই ভাবেই কম সময়ে আপনি বেশ কয়েকটি কার্ডিও করে ফেলতে পারেন।

সাধারণ ব্যায়ামের অনুপাতে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খরচ হয় এইচআইআইটি-তে। ছবি: শাটারস্টক।

কেন করবেন এই শরীরচর্চা?

১) সাধারণ ব্যায়ামের চেয়ে এই শরীরচর্চার উপকার অনেক। কারণ এতে কম সময়েই অনেক বেশি ক্যালোরি ঝরানো সম্ভব। সাধারণ ব্যায়ামের অনুপাতে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খরচ হয় এইচআইআইটি-তে।

২) এই এক্সারসাইজ শেষ করার বেশ কিছু ক্ষণ পরও বিপাক হার বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জগিং বা অন্যান্য ওয়েট লিফটিংয়ের চেয়ে এই শরীরচর্চার ফলে বিপাক হার অনেকটাই বেশি হয়। ফলে ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া তরান্বিত হয়।

৩) অত্যন্ত কম সময়ে শরীর থেকে মেদ ঝরাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই যাঁরা খুব কম সময়ে ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ এইচএইচআইটি।

৪)শরীরে অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায় এইচআইআইটি।

৫) রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদেরও ঝুঁকি কমাবে এই ব্যায়াম। তা ছাড়া রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে এইচআইআইটি।

তবে যদি কারও হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা থাকে, তা হলে এইচআইআইটি করা থেকে বিরত থাকাই ভাল। কেউ যদি সম্প্রতি কোনও গুরুতর চোট পেয়ে থাকেন, তা হলে এখনই এই ব্যায়াম ভুলেও করতে যাবেন না। প্রথম ট্রেনিং শুরু করার আগে এক বার চিকিৎসক ও দক্ষ প্রশিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে নিলে ভাল করবেন। ট্রেনারের কাছ থেকে প্রতিটি ব্যায়ামের সঠিক নিয়ম জেনে নিয়ে করবেন, ভুল পন্থা মেনে শরীরচর্চা করলে সব পরিশ্রমই বৃথা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement