High Cholesterol Symptoms

কোলেস্টেরল বাড়ছে না তো? শরীরে কোন কোন উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হবে?

বারে বারে মলত্যাগের বেগ আসে, কিংবা মলের সঙ্গে রক্তপাত হয়। এমন হলে কিন্তু তা কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:১৮
Share:

রক্তে ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে গেলেই কোলেস্টেরলের সমস্যা শুরু হয়। প্রতীকী ছবি।

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের কারণে যে অসুখগুলি সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া তাদের মধ্যে অন্যতম। এমনিতে আপনার এমন সমস্যা আছে কি না, তা বুঝতে গেলে রক্ত পরীক্ষা করানোই দস্তুর। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই অসুখের প্রবণতা আপনার আছে কি না, বা ইতিমধ্যেই আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে কি না, তা বুঝতে সব সময় রক্তপরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। রক্তে বেশি কোলেস্টেরল এলেই শারীরিক নানা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর প্রভাব শরীরের বহিরঙ্গেও দেখা দেয়। তাই একটু সচেতন হলেই বুঝে যাওয়া যায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না।

Advertisement

রক্তে ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে গেলেই কোলেস্টেরলের সমস্যা শুরু হয়! এর ফলে ধমনীর দেওয়ালগুলিতে মেদ জমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সরু হতে শুরু করে ধমনীগুলি, ব্যাহত হয় রক্ত সঞ্চালন। ধমনী সরু হয়ে গেলে পাকস্থলী, প্লীহা ও যকৃতেও ঠিক মতো রক্ত সঞ্চালন হয় না। অন্ত্রে রক্ত সরবরাহকারী নালিগুলির পথ মেদের কারণে সরু হয়ে অন্ত্রে পেরিফেরাল আর্টারি ডিসি়জ় হতে পারে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত ছড়িয়ে পরে ধমনীর মধ্য দিয়ে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেই ধমনীগুলির ভিতর স্নেহ পদার্থের আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে রক্ত চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে আসতে পারে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘প্লাক’ তৈরি হওয়া। এই ধরনের প্লাক তৈরি হলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত পৌঁছনোয় সমস্যা দেখা দেয়। দেহের প্রান্তিক অঙ্গগুলির ধমনীতে তৈরি হওয়া এই সমস্যাকেই বলে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ’ বা ‘পিএডি’। অন্ত্রে এই সমস্যা দেখা দিলে সেই অংশের টিস্যুগুলিরও ক্ষতি হয়। এই কারণে রোগীর বারে বারে মলত্যাগের বেগ আসে কিংবা মলের সঙ্গে রক্তপাত হয়। এমনটা কি আপনার সঙ্গেও হয়? তা হলে কিন্তু এটি কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে।

রক্তে বেশি কোলেস্টেরল এলেই শারীরিক নানা সমস্যা শুরু হতে পারে। প্রতীকী ছবি।

আর কী কী লক্ষণ দেখলে সচেতন হবেন?

Advertisement

১) চোখের নীচে বা চোখের পাতায় সাদাটে বা হলদেটে ব্যথাহীন ফোলা অংশ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করান। এতে চোখের কোনও সমস্যা দেখা না দিলেও এটি রক্তে কোলেস্টেরল থাকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ।

২) কিছু দিন ধরে মাঝেমাঝে বুকে ব্যথা হচ্ছে, অথচ ইসিজি রিপোর্টে তেমন কিছু সমস্যা খুঁজে পাননি? এমন হলে এক বার রক্ত পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন, রক্তে কোলেস্টেরল প্রবেশ করেছে কি না।

৩) কোলেস্টেরল জমলে মস্তিষ্কেও রক্ত সঞ্চালন কমে। এই কারণে ঘাড়ে ও মস্তিষ্কের পিছনের দিকে মাঝে মাঝে একটানা ব্যথা হয়।

৪) শারীরিক পরিশ্রম করলে বা কোনও উদ্বেগের কারণে হৃদ্‌স্পন্দনের হার বেড়ে যেতেই পারে। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই কি মাঝেমাঝেই কি হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে যায়? এমনটা হলে আর সময় নষ্ট না করে রক্ত পরীক্ষা করান।

৫) খুব ভাল করে লক্ষ করে দেখুন তো, চোখের মণির চারপাশে ধূসর রঙের কোনও গোল দাগ দেখা যাচ্ছে কি না। তা হলে জানবেন, তা চোখের সমস্যা নয়, বরং কোলেস্টেরলের কারণেই এমনটা হচ্ছে। তাই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement