দারচিনিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
দারচিনি আসলে গাছের ছাল। ভারতীয় উপমহাদেশে বহু যুগ ধরেই এই মশলার প্রচলন রয়েছে। ভারতের পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কাতে এই মশলার চাষ খুবই বেশি। মূলত দুই ধরনের দারচিনি পাওয়া যায় বাজারে। ক্যাসিয়া এবং সিলন। সিলনের দারচিনির পুষ্টিগুণ বেশি বলে মনে করেন অনেকেই। শুধু স্বাদ-গন্ধের জন্যই নয়, দারচিনি স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতেও মোক্ষম ভূমিকা নিতে পারে।
১। শরীরের থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে
প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, সকালে উঠে এক গ্লাস দারচিনি আর মৌরি ভেজানো জল খেলে শরীরে জমে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ বা টক্সিন বার হয়ে যায়। ফলে ঝরঝরে এবং চাঙ্গা হয় শরীর। পাশাপাশি, যে কোনও রকম প্রদাহ কমাতেও কাজে আসতে পারে এই মশলা। কোনও টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে দারচিনি খেলে উপকার মিলতে পারে।
২। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ
দারচিনিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা জারণের ফলে দেহকোষের যে ক্ষতি হয়, তা মেরামত করতে সহায়তা করে। তা ছাড়াও দারচিনিতে আছে ‘পলিফেনল’। এই উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জীবাণুর বিরুদ্ধে মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে দেহকে। ঠান্ডার সকালে দারচিনি দেওয়া চা খেতে পারেন। সর্দিকাশির সমস্যা কমবে এতে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারচিনি। ছবি: সংগৃহীত
৩। পেট ভাল রাখে
দারচিনি ও মৌরির জল হজমশক্তি এবং শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। রোজ সকালে স্মুদির মধ্যে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো ফেলে দিন। শরীরচর্চার পর যদি কোনও রকম ‘প্রোটিন ড্রিঙ্ক’ খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার মধ্যেও দিতে পারেন এই গুঁড়ো।
৪। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে কাজে আসে
দারচিনি, মৌরি, এবং জিরে ভেজানো জল ডায়াবিটিসে লাগাম টানতে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রণে থাকে শর্করার মাত্রা। ২ চা চামচ মতো দারচিনি প্রত্যেক দিন খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবিটিস রোগীরা নিয়মিত দারচিনি খাওয়ার আগে এক বার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।
৫। ক্যানসার প্রতিরোধে
নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত না হলেও একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে দারচিনি ক্যানসার প্রতিরোধে কাজে আসতে পারে। ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে অন্ত্রের ক্যানসারের ক্ষেত্রে, রোগের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে কার্যকর হতে পারে দারচিনি।