এমনিতে স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হলেও অতিরিক্ত আম খেয়ে কিন্তু বিপদও ডাকছেন আপনি। ছবি: শাটারস্টক
স্বাদে আমকে টেক্কা দিতে পারে, গরমকালে এমন ফল খুব কমই রয়েছে। গরমের মরসুমে বাজারে গেলেই হিমসাগর থেকে গোলপখাস, নাকে আসে নানা প্রজাতির আমের মিঠে গন্ধ। আমের কদর ও দর, দুই নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাঙালি। গরমে খিদে ও রসনা মেটাতে তাই ফ্রিজ থেকে বার করে হাপুসহুপুস শব্দ আমাদের অচেনা নয়। প্রায় দু’বেলা খাবারের পাতে আম না হলে অনেকেরই মুখভার হয়ে যায়!
অনেকেই আছেন যাঁরা দিনে চার-পাঁচটা আম খেয়ে ফেলেন। কিন্তু একের পরে এক আম খাওয়া আদৌ কি স্বাস্থ্যকর? এমনিতে স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হলেও অতিরিক্ত আম খেয়ে কিন্তু বিপদও ডাকছেন আপনি। শরীরের দিকে খেয়াল না রেখে আম খেলে কিন্তু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে নানা ক্ষতি। জানেন সে সব?
১) আমে ভিটামিন সি ও ক্যালোরি দুই-ই ভরপুর মাত্রায় থাকে। মাঝারি সাইজের আমে থাকে ১৩৫ ক্যালোরি। কিন্তু যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা বেশি আম খেয়ে নিলে বিপদে পড়বেন।
২) আম রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি ফ্রুকটোজ়ে ভরপুর। তাই যাঁরা ডায়াবিটিসের রোগী, তাঁদের পক্ষে আম বড় বিপদ হয়ে দেখা দিতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা আয়ত্তে রাখতে তাই নিয়ম-নীতি ভেঙে ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আম একেবারেই নয়। খেলেও নিয়ন্ত্রণ রেখে খান।
আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরা আম এড়িয়ে চলুন। ছবি: শাটারস্টক
৩) অতিরিক্ত আম খেলে আরও বড় যে সমস্যা হয়, সেটি হল হজমের সমস্যা। গরমের দিনে এমনিতেই অনেকে হজমের সমস্যায় ভোগেন। রোজ বেশি পরিমাণে আম খেলে হজমশক্তির উপর তার প্রভাব পড়ে। শুধু তা-ই নয়, দিনের পর দিন অতিরিক্ত আম গ্যাসটাইট্রিসের সমস্যাকেও উস্কে দেয়। তাই হজমের ক্ষমতাকে ঠিক রাখতে চাইলে ঘন ঘন আম খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৪) আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরা আম এড়িয়ে চলুন। আম খেলে এই ধরনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। একান্তই আম খেতে চাইলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।
৫) যাঁদের ত্বকে অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, তাঁরাও আম খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনুন। আম খেলে চোখ জ্বালা, হাঁচি, পেটে ব্যথা, ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই আম খাওয়ার আগে সচেতন থাকুন।