যোনিতে ব্যথা, চুলকানি, জ্বালাভাব মিলনের সময়ে অসন্তোষের কারণ হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক
বাড়তি বয়সের সঙ্গে মহিলাদের যোনিতেও বদল আসে। কোনও সংক্রমণের ফলে সন্তানের জন্মের পরে এবং ঋতুবন্ধের প্রাক্কালেও যোনিতে পরিবর্তন আসে। যোনিতে ব্যথা, চুলকানি, জ্বালাভাব মিলনের সময়ে অসন্তোষের কারণ হতে পারে। চরম সুখ উপভোগ করার ক্ষেত্রে বাধা আসতে পারে। অল্প বয়স থেকে যোনির খেয়াল রাখলে তবেই বেশি বয়সেও আপনি ‘সুখী’ থাকতে পারবেন। কী ভাবে যোনির যত্ন নেবেন, রইল তার হদিস।
১) রোজের খাদ্যতালিকায় চিনির মাত্রা কমিয়ে দিন। একেবারে বাদ দিয়ে দিতে পারলে আরও ভাল। প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি যত এড়িয়ে চলবেন ততই যোনিতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।
২) অনেক মহিলাই মনে করেন, ঘন ঘন যোনি পরিষ্কার করলেই বুঝি যোনির স্বাস্থ্য ভাল থাকে। তবে এই ধারণা ভুল। যোনি অঞ্চলে কিছু ভাল ব্যাকটেরিয়াও থাকে, যা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। বার বার সাবান কিংবা অন্য কোনও তরল দিয়ে যোনি পরিষ্কার করলে যোনির আম্লিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, ভাল ব্যাকটেরিয়াগুলিও ধুয়ে যায়, ফলে ঝুঁকি বাড়ে সংক্রমণের।
বয়স বেশি হলে যোনি এলাকার চামড়া কুঁচকে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
৩) গরমের দিনে ইউটিআই কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এই সময়ে ডায়েটে বেশি প্রোবায়োটিক খাবার রাখার কথা বলেন চিকিৎসকরা। প্রোবায়টিক খাবারে ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা যোনি অঞ্চলকে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
৪) ধূমপানও যোনির ক্ষতি করে। নিয়মিত ধূমপান করলে সময়ের আগেই ঋতুবন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি যাকে, এর প্রভাব পড়ে যোনির উপরেও। যোনি অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
৫) বয়স বেশি হলে যোনি এলাকার চামড়া কুঁচকে যায়। শ্রোণি অঞ্চলের পেশিগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সমস্যা এড়াতে চাইলে কিছু যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করুন। রোজ বীরভদ্রাসন, আনন্দ বালাসন, তড়াসন অভ্যাস করলে শ্রোণি অঞ্চলের পেশি সঙ্কুচিত হয়।