তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান? ছবি: সংগৃহীত।
তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান? তা হলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে মিলিটারি ডায়েট। নামে মিলিটারি থাকলেও, এর সঙ্গে জওয়ানদের খাদ্যাভ্যাসের কোনও মিল নেই। মূলত ক্যালোরি মেপেই খেতে হয় এই ডায়েট চলাকালীন। সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্যে ৩ দিন কড়া নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করতে হবে, আর বাকি ৪ দিন স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস মানলেও চলবে। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত এই খাদ্যাভ্যাসে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি— এই তিনেরই পরিমাণ কম থাকবে। শরীর বুঝে এই ডায়েটে পুষ্টিবিদের ক্যালোরির মাত্রা বেধে দেন। মিলিটারি ডায়েটে আপনি ইচ্ছা করলে আইসক্রিমও খেতে পারেন। তবে বাকি খাবার খেতে হবে ক্যালোরি মেপে। ঠিক মতো এই ডায়েট করলে নাকি সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ কেজি ওজন ঝরানো যায়।
১ সপ্তাহে কমবে ৫ কেজি ওজন, জানতে হবে কায়দা। ছবি: সংগৃহীত।
কী সুবিধে হবে এই খাদ্যাভ্যাসে?
১) ঠিক মতো এই ডায়েট মেনে চললে কম সময়ে অনেকটা ওজন কমানো যেতে পারে।
২) এই ডায়েটে খুব বেশি কড়াকড়ি থাকে না, তাই মনের মতো খাবার খেয়েই এই ডায়েট করা যায়। ফলে অনেকেই ডায়েটের সময়ে মানসিক চাপে ভোগেন, এই ডায়েটের ক্ষেত্রে সে সব হওয়ার সম্ভাবনা কম।
৩) সপ্তাহে রোজ এক রকম খাবার খেতে ইচ্ছে না হলে বাকি ৪ দিন নিজের পছন্দমতো খাবার খেতে পারছেন।
৪) মূলত উচ্চ প্রোটিনজাতীয় এই খাদ্যাভ্যাসে পেশি শক্তিশালী হয়। বিপাকহারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে পেশির তন্তগুলো।
৫) পেট ভর্তি থাকে অনেকক্ষণ। শারীরিক শক্তি পাওয়া যায়।
যে কোনও বয়সে, যে কোনও পরিস্থিতিতে বা শরীরের হাল–হকিকত না বুঝে ডায়েট শুরু করা যাবে না৷ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ও পুষ্টি বাড়িয়ে শরীরকে তার সঙ্গে অভ্যস্ত করতে হবে। না হলে দিন–রাত খিদে যেমন পাবে, অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন। দিনে ১৫০০-এর বেশি ক্যালোরি এই ডায়েটে গ্রহণ করা যায় না। তবে পুষ্টিবিদের সাহায্য ছাড়া এই ডায়েট করলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। সপ্তাহে ৪ দিন ক্যালোরি খেয়ে বাকি ৩ দিন কম ক্যালরির খাবার খেতে হবে। আর প্রচুর পরিমাণে জল না খেলে কিন্তু এই ডায়েটের ফলে বিপাকে পড়তে হতে পারে।