রাঙা আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) এতটাই কম যে এর থেকে তৈরি হওয়া গ্লুকোজ দ্রুত রক্তে মিশে যেতে পারে।
ছিপছিপে চেহারার লোভ আর ডায়াবিটিসের চোখরাঙানি— মূলত এই দুইয়ের দাপটেই ডায়েট থেকে বাদ দিতে হয়েছে সাধের আলু। তরিতরকারি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, আলু বিদায় নিয়েছে ফিটনেস ফ্রিকদের পাত থেকে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, আলুকে বাদ দিলেও রাঙা আলুকে অবহেলা করাটা একেবারেই উচিত নয়।
রাঙা আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) এতটাই কম যে এর থেকে তৈরি হওয়া গ্লুকোজ দ্রুত রক্তে মিশে যেতে পারে। এ পুষ্টিবিদদের মতে, আলুও যে খুব ক্ষতিকারক তা কিন্তু নয়, বরং ঠিক উপায়ে রান্না করলে, অর্থাৎ রান্নার সময় আলু সেদ্ধ হওয়ার পর জলটা ফেলে দিলে সেই আলুতে খুব একটা ক্ষতি হয় না। তবু বেশি মাত্রায় ডায়াবেটিক ও ওবেসিটির রোগীদের আলু খেতে বারণ করা হয় এর জিআই বেশি বলে। কিন্তু রাঙা আলুর বৈশিষ্ট্য আলুর একেবারে বিপরীত। তাই ডায়েটে রাঙা আলু কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীরাও রাখতে পারেন। এই আলু ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
রাঙা আলুতে ভিটামিন এ, প্রয়োজনীয় খনিজ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের মতো দরকারি উপাদান মজুত থাকে। মূলত শীতে পাওয়া যায় এই সব্জি। তবে এখন বাজারে গেলেই এই সব্জির হদিস মেলে সারা বছরই।
প্রতীকী ছবি।
ওজন ঝরাতে কী ভাবে সাহায্য করে রাঙা আলু?
ফাইবার: রাঙা আলুতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। যা পাকস্থলীতে জেল জাতীয় আঠালো পদার্থ তৈরি করে। এতে পেট ভরে তাড়াতাড়ি। আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে আসে। ফলে ওজন কমানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ পায়। রাঙা আলু বিপাক হার বাড়ায়, সহজপাচ্য হওয়ায় হজমের সমস্যাতেও পড়তে হয় না।
উপকারী কার্বস: কার্বোহাইড্রেট মানেই যে তা অপকারী, তা কিন্তু নয়। বরং শরীরে শক্তির জোগান বাড়াতে এই সব্জি কাজে আসে। শরীর গঠনের প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেটের অন্যতম উৎস এই রাঙা আলু। প্রতি ৩০০ গ্রাম রাঙা আলু সেদ্ধ থেকে ৫৮ গ্রাম মতো কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। নো কার্বস ডায়েটে অভ্যস্তরাও একে সহজেই পাতে নিতে পারেন। কারণ, এর কার্বোহাইড্রেট দ্রুত রক্তে মিশে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।