সমুদ্রের ধারে বসে ভাজা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। ছবি: সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু বাঙালিরাই নয়, সমুদ্রের ধারে ঘুরতে গেলে অনেকেই মাছের প্রতি আলাদা টান অনুভব করেন। সকালে সমুদ্রস্নান সেরে, বিকেলে সমুদ্রের পারে বসে মাছভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেকেই মনে করেন, সমুদ্রের ধারে যত টাটকা মাছ পাওয়া যায়, তা অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। এ কথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। মাছ বা সামুদ্রিক জীব টাটকা হওয়া সত্ত্বেও যত পেটের রোগ বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা কিন্তু শুরু হয় এই সমস্ত ভাজা খাওয়ার পর থেকেই। তাই চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘোরার আনন্দ মাটি না করতে চাইলে এই সব সামুদ্রিক খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
বর্ষাকালে সামুদ্রিক মাছ খাবেন না কেন?
১) জলজ দূষণ
বৃষ্টির জলে নানা জায়গা থেকে নোংরা, ধুলো-ময়লা সমুদ্রে এসে মেশে। এই দূষণের ফলে মাছ, সামুদ্রিক জীবেরাও সংক্রামিত হয়। এই ধরনের মাছ যতই টাটকা হোক না কেন, তা খেলে পেটের রোগ হতে বাধ্য।
২) পারদ সংক্রমণ
বর্ষাকালে আরও একটি সমস্যা হল জলের মধ্যে পারদ মাত্রা বেড়ে যাওয়া। পারদ এমনিতেই বিষাক্ত একটি ধাতু। জলের মধ্যে থাকা এই বিষ মাছেদের শরীরে সহজেই থেকে যায়। টুনা, তরয়াল বা হাঙর প্রজাতির বড় মাছের মধ্যে এই ধরনের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। কোন মাছে এই বিষ ঢুকে রয়েছে, তা বাইরে থেকে দেখলে একেবারেই বোঝা যায় না। ফলে এই ধরনের মাছ থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়।
৩) অ্যালার্জির ভয়
সামুদ্রিক খাবার থেকে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। এই সমস্যা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে বর্ষায়। যে হেতু এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই চট করে এই ধরনের সমস্যা প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়াও বর্ষাকালে পরজীবীদের সংখ্যাও বেড়ে যায়। জলের মধ্যে থাকা মাছেদের শরীর থেকে সহজেই তা মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। ফলে পেটব্যথা, বমি, পেটখারাপের মতো সমস্যা হতেই পারে।