ছবি: সংগৃহীত
গরমে সুস্থ থাকতে জল-সমৃদ্ধ মরসুমি ফলের বিকল্প নেই। আম, জাম, লিচু, তরমুজ তো রয়েছেই। এই ফলগুলি অনেকেরই প্রিয় ফলের তালিকায় থাকে। তবে খানিক চেনা ছকের বাইরে গিয়ে একটু অন্য রকম কিছুর স্বাদ নিতে খেতে পারেন খরমুজ। তরমুজ খেতে ভালবাসেন অনেকেই। খরমুজও কিন্তু কম উপকারী নয়। খেতেও সুস্বাদু। বিশেষ করে যাঁরা আথ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য মহৌষধ হল খরমুজ। অন্যান্য ফলের মতো বাজারে সর্বত্র, সব সময় খরমুজের দেখা মেলে না। কিন্তু একটু খুঁজলেই পেয়ে যেতে পারেন খরমুজ। ইংরেজিতে খরমুজকে বলা হয় 'মাস্কমেলন'। বাংলায় খরমুজ 'ফুটি' বলেও পরিচিত।
কিন্তু চোখের সামনে এত ফল থাকতে কেন খাবেন খরমুজ? কী এর উপকারিতা?
খরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, বিভিন্ন খনিজ, ভিটামিনের মতো উপকারী পুষ্টিগুণ। আর্থ্রাইটিসের সমস্যার সমাধান করা ছাড়াও রক্তচাপ কমাতে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও দারুণ কার্যকরী এই ফল।
মহিলাদের ঋতুস্রাবকালীন পেটে যন্ত্রণা, পেশির টান কমাতেও দারুণ সাহায্য করে খরমুজ। ছবি: সংগৃহীত
খরমুজে রয়েছে ভরপুর ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, এমন ব্যাক্তিরা তাই অনায়াসে খেতে পারেন খরমুজ। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খরমুজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।
মহিলাদের ঋতুস্রাবকালীন পেটে যন্ত্রণা, পেশির টান কমাতেও দারুণ সাহায্য করে খরমুজ। শুধু তরমুজ নয়, খরমুজেও জলীয় উপাদান অনেক বেশি। ফলে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল, গ্যাসের সমস্যার নিমেষে সমাধান হয় এই ফলের গুণে।