রাতে ঘুমের মধ্যে কি ঘেমে যাচ্ছেন? ছবি: সংগৃহীত।
ক্যানসার, এই শব্দটা শুনলেই যেন মন ভয় আঁতকে ওঠে। প্রতি বছর এই রোগ কেড়ে নেয় কোটি কোটি মানুষের প্রাণ। বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রথম পর্যায় ধরা পড়লে সঠিক চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ জীবনে ফেরানো সম্ভব। এর জন্য প্রাথমিক পর্যায় ক্যানসারের উপসর্গগুলি চিহ্নিত করা প্রয়োজন। শরীরে অন্যান্য অঙ্গে সামান্য ব্যথা-বেদনা বা কিছু পরিবর্তন দেখলেই আমরা দ্রুত চিকিৎসকের কাছে ছুটি। কিন্তু হাড় সংক্রান্ত সমস্যাগুলিকে চোট-আঘাত ভেবে অনেকেই অবহেলা করেন। এ কারণেই হাড়ের ক্যানসার শরীরে বিস্তারের সময় পেয়ে যায়। এমন সময়ে ধরা পড়ে, যখন আর করার কিছুই থাকে না। নীরব ঘাতক হাড়ের ক্যানসারের কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?
১) কোনও চোট-আঘাত পাননি অথচ হাড়ে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি সেই স্থানটিতে ফোলাভাব দেখলে সতর্ক হোন। বিশেষ করে যদি গাঁটের স্থান ফুলে যায়, তা হলে এটি সাধারণ হাড়ের সমস্যা না-ও হতে পারে।
২) ফুলে যাওয়া স্থানে মাংসপিণ্ড অনুভব করা মাত্র সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। যদি ব্যথার স্থানে রক্ত জমাট বাঁধার মতো গুটলি মনে হয়, তা হলে কিন্তু তা হাড়ের ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।
হাড়ের যন্ত্রণাকে বাত ভেবে অবহেলা নয়। ছবি: সংগৃহীত।
৩) হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া মানেই আপনার কোনও চোট লেগেছে, তা নয়। হাড়ের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ কিন্তু যন্ত্রণা। রাতে ঘুমোনোর সময়ে ব্যথা যন্ত্রণা হওয়া, ঘুম থেকে উঠেই গাঁটে গাঁটে ব্যথা হওয়া, ভারী কোনও জিনিস তোলার পর যন্ত্রণা বা হাঁটার ফলে হাড়ে ব্যথা হওয়া— এই সবই হাড়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। হাড়ে যন্ত্রণার পাশাপাশি প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়াও কিন্তু ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।।
৪) রাতে ঘুমের মধ্যে কি ঘেমে যাচ্ছেন? এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভাল, এই লক্ষণ কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
৫) হাড়ের ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয় এবং হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। এর ফলে ওঠা বা বসার সময়ে, হাঁটু ভেঙে বসার সময় বা এমনি নিতান্ত সাধারণ কারণেও অনেক সময়ে হাড় ভাঙা বা হাড় ফ্র্যাকচারের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রেও সাবধান হন।