রাত জেগে কাজ করেও সুস্থ থাকা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেই নাইট শিফ্টে কাজ করেন। রাত জেগে কাজ করা সহজ নয়। তবে এক বার অভ্যাস হয়ে গেলে অসুবিধা হয় না। কিন্তু এর প্রভাব পড়ে শরীরের অন্দরে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীর তো বটেই, দীর্ঘ দিন রাত জেগে কাজ করার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হয়। মেদ জমতে শুরু করে। ওজন বে়ড়ে যায়। ফিট থাকতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমের ঘাটতি হওয়ার ফলে শরীরও দুর্বল হয়ে প়ড়ে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, রাত জেগে কাজ করার কারণে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের গোলমাল তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়াও হরমোনজনিত সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে। গ্যাস-অম্বল তো বটেই, রাতভর কাজ করার ফলে ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যাওয়া একটা বড় সমস্যা। বহু ক্ষেত্রে অনেক কঠিন অসুখের শুরুও হয় এই রাত জেগে কাজ করার ফলে। কী ভাবে নিয়ম মেনে চললে রাত জেগে কাজ করেও সুস্থ থাকবেন?
১) অনেকেই রাত জেগে থাকার জন্য কাপের পর কাপ চা, কফি খান। এতে কিন্তু শরীর আরও খারাপ হয়। রাত জাগলে এমনিতেই শরীর আর্দ্রতা হারাতে থাকে। ফলে আর্দ্র থাকা জরুরি। তার জন্য ৪৫ মিনিট অন্তর জল বা কোনও এনার্জি ড্রিঙ্ক খেতে থাকুন। গ্রিন টি, হার্বাল টি, লস্যি খেলে ঘুম পাবে না। অতিরিক্ত চা বা কফি এক আধ বার চলতে পারে। নরম পানীয় একেবারেই খাবেন না।
২) রাতে খিদে পেলে কাঠবাদাম, সয়াবিন, চিয়া বীজ, চিনে বাদাম, জাতীয় জিনিস খান। শুকনো মুড়িও ভাল। বেশি খিদে পেলে পোহা বা উপমা জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তবে বাইরের খাবার একেবারেই খাবেন না। পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানির মতো খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩) রাত জাগতে হলে দুপুরে রঙিন সব্জি খান বেশি করে। সবুজ শাকসব্জি হল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের সমৃদ্ধ উৎস। এই উপাদান শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে। টোম্যাটো, গাজর, স্ট্রবেরি, সবুজ শাকসব্জি, লেবু, বেরি জাতীয় ফল এবং সব্জি বেশি করে খান।
৪) নাইট শিফ্ট থাকলে বেশির ভাগ সময়েই বাড়ি থেকে রাতের খাবার সঙ্গে নিয়ে অফিস যান অনেকেই। কিন্তু কাজ সামলে খেতে খেতে রাত হয়। তার চেয়ে যে দিন নাইট শিফ্ট থাকবে, সে দিন বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে বেরোন। যদি আপনার শিফ্ট সন্ধ্যা সাতটা থেকে হয়, তবে বিকেল চারটে থেকে পাঁচটার মধ্যে খেয়ে নিন। খিদে পেলে রাতে হালকা কিছু খান। ভারী খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল।