ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা এক বার জীবনের সঙ্গে জুড়ে গেলে, ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার সুযোগ আর থাকে না। মেপে, পরিমিত পরিমাণে খাবার খাওয়াই দস্তুর হয়ে যায়। শীতের সকালে গরম গরম পরোটা খাওয়ার ইচ্ছা হলেও, সে বাসনা শিঁকেয় তুলে রাখতে হয়। তবে পরোটা মানেই যে ক্ষতিকর, তা কিন্তু একেবারেই নয়। স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে বানালে মৌজ করে পরোটাও খেতে পারেন ডায়াবেটিক, হার্টের রোগীরা। সে ক্ষেত্রে কী কী পরোটা থাকতে পারে তালিকায়?
মেথির পরোটা
মেথিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা দ্রুত হজম করাতে সাহায্য করে। মেথি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে ঠিক রাখে। এ ছাড়া মেথির অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান প্রদাহজনিত সমস্যা দূরে রাখে। মেথি দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন মুখরোচক পরোটা। কুচোনো মেথি শাক, আটা, নুন, জোয়ান ও সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আটার সঙ্গে মেখে নিলেই কাজ শেষ। তার পর ইচ্ছামতো আকারে পরোটা বানিয়ে নিলেই হল।
পালং শাকের পরোটা
ভিটামিন বি, ই এবং পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ পালং শাক ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে। পালং শাক দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। ফলে বার বার খাওয়ার প্রবণতা খানিক কমে। তাই পালং শাক দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন সুস্বাদু পরোটা। পালং শাক সেদ্ধ করে আটার সঙ্গে মেখে নিন। তার পর পরোটার আকারে বেলে নিয়ে হালকা তেলে ভেজে নিলেই হল।
ছাতুর পরোটা
প্রথমে দুটো পরোটার জন্য পরিমাণ মতো ময়দা মেখে নিন। এ বার অন্য একটি পাত্রে ছাতু, কাঁচালঙ্কা কুচি, পেঁয়াজকুচি, সর্ষের তেল, অল্প নুন, গোলমরিচ, জোয়ান, ধনেপাতা কুচি, চাট মশলা একসঙ্গে মিশিয়ে পুর তৈরি করে নিন। আগে মেখে রাখা ময়দার মণ্ড থেকে লেচি কেটে তার মধ্যে পুর ভরে পরোটার আকারে বেলে নিন। তার পর ননস্টিক তাওয়ায় অল্প অলিভ অয়েল ছড়িয়ে পরোটা ভেজে নিন।