ছবি: সংগৃহীত।
খুদে স্কুলে কী টিফিন নিয়ে যাবে, তা নিয়ে আগের রাত থেকেই ভাবতে বসেন মায়েরা। সকাল হলেই হেঁশেলে রীতিমতো যুদ্ধে নেমে পড়েন। খুদের স্বাস্থ্যরক্ষাও হব্ আবার সোনামুখ করে খেয়েও নেবে— এমন খাবার বাছতে গিয়ে খানিক নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকেই। সকাল থেকে অনেকটা সময় স্কুলে কাটে বাচ্চাদের। বাবা-মায়েদের চোখের আড়ালে থাকা তারা। খাওয়াদাওয়া নিয়ে আলাদা করে নজর দেওয়া হয় না। ফলে এমন খাবার দিতে হবে যে, দীর্ঘ ক্ষণ চনমনে এবং চাঙ্গা থাকে শিশু। পাস্তা, চাউমিন বানিয়ে দিলে টিফিনবাক্স খালি হবে কি না, তা নিয়ে একটা ভয় থাকে না। কিন্তু রোজ রোজ এই ধরনের খাবার খাওয়াও ঠিক নয়। রোজকার টিফিনে বাচ্চাদের কী খাবার দিলে স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল একসঙ্গে রাখতে পারবেন?
ফল
সারা বছরই বাজার ভরে থাকে নানা ফলে। শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি মেটাতে ফলের জুড়ি মেলা ভার। তাই শিশুর টিফিনে ফল কেটে দিতে পারেন। তবে কাটা ফল খুব দেরি করে না খাওয়াই ভাল। সন্তানকে বলে দেবেন, যেন তাড়াতাড়ি ফলগুলি খেয়ে নেয়।
সব্জি দিয়ে তৈরি খাবার
শিশুরা একেবারেই সব্জি মুখে তুলতে চায় না। কিন্তু শাকসব্জি না খেলেও শরীর ভাল রাখা সম্ভব নয়। তাই সব্জি দিয়েই বানিয়ে দিতে পারে নানা মজাদার খাবার। বছরভর বিনস্, গাজর, ক্যাপসিকামের মতো সতেজ এবং রঙিন সব্জি পাওয়া যায়। এগুলি দিয়ে বানিয়ে দিতে পারেন চাউমিন, পাস্তার মতো মুখরোচক খাবার। এই উপায়ে সব্জি খাওয়াতে চাইলে দেখবেন খুদেরাও বিনা বাক্যে খেয়ে নেবে।
ড্রাই ফ্রুটস
শিশুর টিফিনে দিতে পারেন কাজু, কিশমিশ, আখরোট, খেজুর। ড্রাই ফ্রুটস শরীরের যত্ন নেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ড্রাই ফ্রুটসে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ পদার্থের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু উপাদান। সেগুলি শরীরের অনেক সমস্যারই দ্রুত সমাধান করে। তাই ভাজাভুজির বদলে শিশুর টিফিনে দিন ড্রাই ফ্রুটসের মতো কিছু খাবার।