হার্টের রোগীরা কি মাছের তেল খেতে পারেন?
বড় মাছের তেল খাওয়া নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর! তাই খেতে বেশ পছন্দ করলেও মাছের তেল থেকে যতটা দূরে থাকা যায়, সে চেষ্টাই করেন একাংশ। তবে চিকিৎসকদের মতে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে মাছের তেলের জুড়ি নেই। প্রেটিন, ওমেগা-থ্রি ফ্যাট অ্যাসিড, প্রচুর ভিটামিন, আয়োডিন ছাড়াও মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তাই সুস্বাস্থ্য পেতে গেলে মাছের তেলকে অবহেলা নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজ খেতে পারেন ‘ফিশ অয়েল ক্যাপসুল’।
মাছের তেলের নানা গুণ
১) মাছের তেল হৃদ্যন্ত্রের জন্য যথার্থ পুষ্টি জোগায়। যাঁরা নিয়মিত মাছ খান, তাঁদের মধ্যে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কম। মাছের তেলে রয়েছে ভাল কোলেস্টেরল। মাছের তেল রক্তে ট্রাইগ্রিসারাইডের মাত্রা কমায়। রক্তচাপের সমস্যা কমাতে পারে।
২) মাছের তেল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ভরসা রাখতেই পারেন এই দাওয়াইয়ে।
প্রতীকী ছবি
৩) চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য নিয়মিত মাছের তেল খাওয়া ভাল।
৫) ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুণ উপকারী। মাছের তেল শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করে।
৬) ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মাছ খেলে মন ভাল থাকবে।
৭) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তাই এই সময়েও চিকিৎসকরা ‘ফিশ অয়েল ক্যাপসুল’ খাওয়ার পরামর্শ দেন।