লিচু খেলে কী কী উপকার হবে। ছবি: সংগৃহীত।
আম-লিচুর সময় এসে গিয়েছে। বাজার ছেয়ে গিয়েছে লিচুতে। প্যাচপেচে গরমে যে ফলগুলি খেলে মন ভরে যায়, তার মধ্যে একটি আম, অন্যটি অবশ্যই লিচু। এই ফল আবার একটি, দু’টি খেলে ঠিক মনের শান্তি হয় না। টপাটপ লিচু মুখে না পুরলে আর খাওয়া হল কই! স্বাদে সেরা লিচু। গুণেও কিন্তু পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে রূপচর্চা, লিচুতেই রয়েছে সমাধান।
লিচু যেহেতু খুব মিষ্টি, তাই খাওয়ার আগে মনটা কিন্তু কিন্তু করেই। লিচু খেলে ক্যালোরি বেড়ে যেতে পারে, এমন ধারণাও আছে অনেকের। ডায়াবিটিসের রোগীরা আবার ভাবেন, লিচু খাওয়া ঠিক হবে কিনা! তা হলে জেনে নেওয়া যাক, লিচু কখন ও দিনে ক’টা করে খেলে শরীরে কোনও সমস্যা হবে না।
লিচু খেলে কী কী উপকার পাবেন?
১) দেখতে ছোট হলেও লিচুর মধ্যে অন্তত ৮১ শতাংশই জল থাকে। তাই গরমে শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ করতে হলে এই ফল একেবারই আদর্শ।
২) এই ফল শুধুমাত্র পুষ্টি সরবরাহ করে না, দেহে চিনির মাত্রাও বজায় রাখে। লিচু খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে না।
৩) লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
৪) কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলেও লিচু খাওয়া যাবে। লিচুতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের যে কোনও সমস্যা দূর করতে পারে।
৫) লিচু হার্টের জন্যও ভাল। এর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬) ক্যানসার প্রতিরোধক রয়েছে লিচুতে। তাই নিয়মিত খাওয়া উচিত মরসুমি ফল। লিচুতে ক্যালোরি খুব কম। তাই ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই।
৭) লিচু শুধু শরীর নয়, মনও ভাল রাখে। এতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েড। এই উপাদান মনের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
দিনে কখন ও ক’টা লিচু খাবেন?
একদম ভরা পেটে লিচু খাওয়া ঠিক নয়। ভারী খাবার খেয়ে উঠেই লিচু খাবেন না। কারণ, লিচুর রস হজমে বাধা দেবে। আবার একদম খালি পেটেও লিচু খাওয়া ঠিক নয়। দু’টি মিলের মাঝে লিচু খাওয়া যেতে পারে।
ডায়াবিটিস বা অন্য রোগ না থাকলে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক দিনে ১০ থেকে ১৫টি লিচু অনায়াসেই খেতে পারেন। তবে ডায়াবিটিস থাকলে দিনে ৬টা থেকে ৮টা খাওয়াই ভাল। লিচুর ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ ৫০। এর অর্থ হল, লিচু দুম করে রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দেয় না। রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকলে লিচু খাওয়া নিরাপদ। তবে কতটা খাচ্ছেন, তার উপরেই সব নির্ভর করবে। ডায়াবিটিসের রোগীরা লিচু খাওয়ার আগে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।