কাঁচা লাউয়ের রস খাওয়ার চেয়ে লাউয়ের কোনও পদ রান্না করে খাওয়াই ভাল। ছবি : সংগৃহীত
সপ্তাহে একটা দিন অনেকের বাড়িতেই নিরামিষ রান্না হয়। শীতকালে তা-ও নানা রকম সব্জি পাওয়া যায়। কিন্তু গরমের দিনে সেই ঝোল নয় পাতলা ডাল। আর এই সবের মধ্যমণি হল লাউ। খেতে ভাল না লাগলেও লাউয়ের পুষ্টিগুণের কথা সকলেই কম-বেশি জানেন। ইদানীং পুষ্টিবিদদের পছন্দের তালিকাতেও লাউ বেশ উপরের দিকেই থাকে। তার কারণ এই একটি সব্জিতে যে পরিমাণ ভিটামিন, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো যৌগ আছে, তা অন্য কোনও সব্জিতে নেই।
শুধু রান্নাতেই নয়, উচ্চ রক্তচাপ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকে আবার লাউ ছেঁচে, রস বার করে খান। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাঁচা লাউয়ের রস খাওয়ার চেয়ে লাউয়ের কোনও পদ রান্না করে খাওয়াই ভাল। কারণ কাঁচা লাউয়ের রসের স্বাদ যদি একটু তিতকুটে হয়, সেখান থেকে কিন্তু পেটের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।
এক নজরে দেখে নিন লাউ খেলে কী কী উপকার হয়—
১) শরীর ঠান্ডা থাকে
ক’দিন বেশি তেল-ঝাল-মশলা খাওয়া হলে, মা-কাকিমারা লাউয়ের ঝোল খেতে বলেন। কারণ লাউ পেট ঠান্ডা করে। বদহজম, অম্বল জনিত পেটের সমস্যা একেবারে নির্মূল করে।
২) লিভার এবং কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
একটি বয়সের পর চিকিৎসকরা বেশি করে লাউ খেতে বলেন। অনেক সময়ে বয়সজনিত কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে আসলে হজমের সমস্যা হতে পারে। বার বার হজমের ওষুধ খাওয়ার চেয়ে লাউ খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। উপরন্তু লাউয়ে থাকা পটাশিয়াম কিডনির স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে।
৩) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
লাউয়ে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই অনেকেই সকালে খালি পেটে লাউয়ের রস খেয়ে থাকেন।
৪) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘ দিন ধরে সেই চর্বিগুলি রক্তবাহিকার দেওয়ালে আটকে, রক্ত চলাচলের গতি স্লথ করে দেয়। ফলে হার্টে রক্ত সঞ্চালনের তারতম্য ঘটে। লাউ খেলে রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। যা এই চর্বিগুলিকে সরিয়ে, রক্তবাহিকার গতিপথ সচল রাখে।
৫) পেটের রোগ নিরাময় করে
সেই আদিকাল থেকে পেটের যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মা-জেঠিমাদের ভরসা লাউ। বাইরে কিছু খেলেই পেটের গোলমালের মতো সমস্যা থেকে রেহাই পেতে লাউয়ের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে খান। পেটের যাবতীয় সমস্যা দূরে থাকবে।