কাঁচালঙ্কা বেশি খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? ছবি: শাটারস্টক।
কষা মাংস হোক কিংবা ডিমের ঝোল, একটু ঝাল ঝাল, লাল লাল না হলে চলে? রান্নার স্বাদ ও রঙের জন্য অনেক হেঁশেলেই লাল গুঁড়ো লঙ্কা ব্যবহার করা হয়। সমস্যা হয় তখনই, যখন বাড়ির বাচ্চারা গুঁড়ো লঙ্কার ঝাল সহ্য করতে পারে না। পেটের সংক্রমণ, হজমের সমস্যা রুখতে শুধু বাড়ির খুদের জন্যই নয়, বড়দের লঙ্কার গুঁড়ো খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু রান্নার স্বাদ? সেই ঝালঝাল ভাব? রান্নায় গুঁড়ো লঙ্কার বদলে ব্যবহার করুন কাঁচালঙ্কা। স্বাস্থ্যের ক্ষতি তো হবেই না, উল্টে বেঁচে যাবে অনেক ওষুধের খরচ। জেনে নিন, রোজ কাঁচালঙ্কা দিয়ে রান্না করলে কিংবা খাওয়ার পাতে একটি কাঁচালঙ্কা খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়।
ভিটামিনের উৎস: কাঁচালঙ্কায় ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে। এই ভিটামিন হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি-এর পরিমাণও লঙ্কায় বেশি থাকে। তাই ত্বকের নানা সমস্যা নিরাময় করতে পারে কাঁচালঙ্কা। সহজে মুখে বলিরেখাও পড়তে দেয় না।
সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়: কাঁচালঙ্কা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। কাঁচালঙ্কা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সংক্রমণজনিত জ্বর, সর্দিকাশি থেকে বাঁচায়। লঙ্কার মধ্যে রয়েছে ক্যাপসাইসিন, যা দেহের কোষ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।
বিপাক হার বৃদ্ধি করে: কাঁচালঙ্কা খেলে দেহে এক ধরনের তাপ উৎপন্ন হয়। যা বিপাক হারের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে এবং ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে কাঁচালঙ্কা।
যন্ত্রণা কমায়: কাঁচালঙ্কায় রয়েছে ক্যাপসাইসিন, যা প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। মাইগ্রেন এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কাঁচালঙ্কা।
হজমে সাহায্য করে: কাঁচালঙ্কা খাবার হজমে করতেও সাহায্য করে। খুব তেল-মশলার রান্নায় গুঁড়ো লঙ্কার পরিমাণ কমিয়ে দিন। গুঁড়ো লঙ্কা খাবারের রং, স্বাদ বাড়ালেও হজমে সমস্যা করতে পারে। কিন্তু কাঁচালঙ্কার হালকা ঝাল খাবার হজমে সাহায্য করে। তাই ঝালের নিয়ন্ত্রণেই হজমের ক্ষমতা সক্রিয় রাখুন।