গ্রিন টির মতোই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর ব্লু টি। ছবি: শাটারস্টক
যে কোনও শারীরিক সমস্যারই এখন প্রায় এক কথায় সমাধান হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রিন টি। অনেক স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালির বাড়িতেই ইদানীং লিকার চায়ের বদলে স্থান করে নিয়েছে গ্রিন টি। গ্রিন টির মতোই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর ব্লু টি।
ক্লিটোরিয়া টারনেটি, অপরাজিতা ফুল, নীল জবা থেকে তৈরি হয় ব্লু টি। হালকা টক স্বাদ ও নীল রঙের জন্য অনেকেই এই চা পছন্দ না করলেও এই চা-এর রয়েছে প্রচুর উপকারিতা।
দারুণ ডিটক্সের কাজ করে
ব্লু টি ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাল উৎস। ডাইইউরেটিক হওয়ার কারণে এই চা খেলে ঘন ঘন মূত্রচাপ আসে। ফলে শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। এর মধ্যে থাকা সাইক্লোটাইড-এর অ্যান্টি এইচআইভি, অ্যান্টি-টিউমার গুণ রয়েছে।
হজমে সাহায্য করে
ব্লু টি হজমে সাহায্য করে। ভারী খাবার খাওয়ার আগে এক কাপ ব্লু টি খেতে পারেন। এতে বিপাক হার বাড়ে। বমি ভাব কাটানোর কাজেও আসে ব্লু টি।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
রোজের ডায়েটে এই চা রাখলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। কারণ ব্লু টি মস্তিষ্কে অ্যাসিটাইলকোলিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যার অ্যান্টিপাইরেটিক গুণ উত্কণ্ঠা কমাতে ও অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে।
ব্লু টি-র অ্যান্টি-গ্লাইসেটিন গুণের জন্য এটা ত্বকের পক্ষে খুব ভাল। ছবি: শাটারস্টক।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যে নিয়মিত এই চা খেলে ডায়াবেটিক রোগীরা উপকার পেয়েছেন।
রূপচর্চায় কাজে আসে
ব্লু টি-র অ্যান্টি-গ্লাইসেটিন গুণের জন্য এটা ত্বকের পক্ষে খুব ভাল। এর মধ্যে থাকা ফ্লাভোনয়েড ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে বয়স ধরে রাখে। বলিরেখা পড়তে দেয় না। আবার অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় চুল পড়ার সমস্যাতেও কাজ করে ব্লু টি।