ভেজানো কিশমিশ খেয়েই অনেক রোগ দূরে সরিয়ে দেওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত।
পায়েস আর পোলাওয়ে কিশমিশ না দিলে রান্না ঠিক মনের মতো হয় না। আবার টুকটাক মুখ চালাতেও কিশমিশ ভাল বিকল্প। পেট ভরে, আবার খেতেও মন্দ লাগে না। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রান্নায় দিয়ে কিংবা শুধু খাওয়ার বদলে কিশমিশ ভিজিয়ে খেতে পারলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ভিজিয়ে খাচ্ছেন না মানেই যে কোনও সুফল নেই, বিষয়টি তেমন নয়। তবে ভিজিয়ে খেলে বাড়তি কিছু উপকার পাওয়া যায়। সেগুলি কী?
হার্টের যত্ন নেয়
ভেজানো কিশমিশ হার্টের খেয়াল রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার। রক্তচাপ বশে থাকলেই হার্ট ভাল থাকে। তা ছাড়া, কিশমিশে রয়েছে পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
হাড়ের যত্ন নেওয়া
কিশমিশ হল ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। ফলে হাড়ের যত্ন নিতে কিশমিশের উপর ভরসা রাখতে পারেন। তবে তার জন্য ভেজানো কিশমিশের উপর ভরসা রাখতে পারেন। ক্যালশিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার চেয়ে কিশমিশ খান বেশি করে। ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
প্রাকৃতিক শর্করা থাকলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিশমিশ ভাল বিকল্প হতে পারে। কিশমিশে রয়েছে ফাইবার, যা দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে গেলে ওজন বশে রাখাও অনেক সহজ হয়ে যাবে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে
সারা দিন ল্যাপটপের কাজ করার ফলে চোখের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময়ে কাজ শেষ করার পর চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, চোখ জ্বালা করে। কিশমিশ কিন্তু চোখের যত্ন নেয়। এ ছা়ড়া, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ক্ষরণ কমাতেও খেতে পারেন ভেজানো কিশমিশ।