কাঁচালঙ্কা খাওয়ার রয়েছে বহু সুফল। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে জলখাবারে রুটি-তরকারির সঙ্গে হোক কিংবা বিকালের চপ-মুড়ি, কাঁচা লঙ্কায় কামড় না বসালে অনেকেরই ঠিক তৃপ্তি হয় না। লঙ্কার প্রতি অনেকেরই এমনই উজাড় করা ভালবাসা আছে। আবার এর উল্টো ছবিও আছে। লঙ্কা খাওয়া তো দূর, দেখলেও নাকি গায়ে জ্বর আসে। কাঁচালঙ্কার প্রতি প্রেম থাক বা না থাক, কাঁচালঙ্কা খাওয়ার উপকারিতা বহু। কী উপকার পাওয়া যাবে?
হজমে সহায়তা করে
কাঁচালঙ্কায় রয়েছে ক্যাপাসাইসিন, যা হজমশক্তি উন্নত করতে দারুণ সাহায্য করে। এই উপাদান শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। যা শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দেয়। বিশেষ করে যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, কাঁচালঙ্কা তাঁদের জন্য সত্যিই অত্যন্ত উপকারী।
হার্টের যত্ন নিতে
রক্তে খারাপ কোলস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে কাঁচালঙ্কা। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টও ভাল থাকে। কাঁচালঙ্কায় থাকা ক্যাপাসাইসিন রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতেও কাঁচালঙ্কার জুড়ি মেলা ভার। স্ট্রোকের আশঙ্কাও কমে কাঁচালঙ্কা খেলে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
কাঁচালঙ্কায় রয়েছে ভিটামিন সি, এ-র মতো উপাদান। এই ভিটামিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেও কাঁচালঙ্কার জুড়ি মেলা ভার।
ব্যথা-বেদনা উপশমে
ক্যাপাসাইসিন ব্যথা এবং যন্ত্রণারও দাওয়াই হতে পারে। পেশির যন্ত্রণা নিরাময় করতেও কাঁচালঙ্কা ওষুধের মতো কাজ করে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা তাড়াতে এবং প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও কাঁচালঙ্কা সত্যিই সাহায্য করে।
চোখের যত্নে
কাঁচালঙ্কায় ভরপুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। রোজ যদি কাঁচালঙ্কা খাওয়া হয়ে যায়, তা হলে চোখে জ্যোতি বা়ড়ে। চোখের অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতেও কাঁচালঙ্কা উপকারী।