ভাজাভুজি খেয়েও লিভার ভাল রাখবেন কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।
মরসুম বদলের সময় ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি জ্বর লেগেই থাকে। এই সময় শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চিরতা কিন্তু ভীষণ কার্যকর। স্বাদে তেতো হলেও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর চিরতা। মেদ ঝরানো হোক কিংবা শরীর থেকে টক্সিক পদার্থ বার করা, নিয়ম করে চিরতার জল খেলে শরীর থাকবে ফিট। জেনে নিন, চিরতা খাওয়া কেন এত জরুরি।
১) রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিরতার জল বেশ উপকারী। ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়ম করে চিরতা খেতে পারেন। এ ছাড়া চিরতার জল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমাতে সাহায্য করে।
২) চিরতা রক্ত পরিষ্কার রাখে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তারুণ্য ধরে রাখতে রোজ সকালে খালি পেটে চিরতার জল খেতে পারেন। ত্বক ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। ব্রণ, ফুসকুড়ি ও র্যাশের সমস্যা দূর করতে, চামড়ার রোগ থেকে মুক্তি পেতে চিরতা খেতে পারেন।
৩) শীতকালে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। শরীরে ফোলাভাব, চোখ ফুলে যাওয়া, সর্দি-কাশি-সহ আরও নানা রকম সমস্যা হয়। চিরতা এ ক্ষেত্রে উপকারী। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও এই জল খেতে পারেন।
চিরতা রক্তকে পরিষ্কার রাখে।
৪) বাইরের খাবার রোজ রোজ খেয়ে এখন কম বয়সেই লিভারের অসুখ ধরা পড়ছে অনেকের। লিভার সুস্থ রাখতে চিরতার জল দারুণ উপকারী। এই জল লিভার পরিষ্কার রাখে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
৫) চিরতার জল শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বার করে দেয়। ভিতর থেকে শরীর পরিষ্কার রাখে। অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাতেও চিরতার জল ভীষণ কার্যকর।
৬) প্রায়ই বদহজম হয়? হজমের সমস্যা থাকলে আপনি চিরতার জল খেতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় এই জল খেলে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।